এখন থেকে প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে যাওয়ার জন্য ট্রাভেল পাস নিতে হবে সবাইকে। যাদের ট্রাভেল পাস থাকবে, তারাই এই দ্বীপটিতে ভ্রমণে যেতে পারবেন। দ্বীপে যারা ভ্রমণে যাবেন, তারা সঙ্গে করে কোন রকম পলিথিন ও প্লাস্টিক পণ্য নিতে পারবেন না। এ ছাড়া পর্যটকরা কোন হোটেলে অবস্থান করবেন, তার রেজিস্টার সংরক্ষণ করা হবে। দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন নিয়ন্ত্রণে কমিটি গঠন করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরির্তন মন্ত্রণালয়। মঙ্গলবার মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব সাবরীনা রহমান স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়েছে। বোর্ড কমিটির কর্মপরিধিতে বলা হয়েছে, জাহাজ ছাড়ার/এন্ট্রি পয়েন্টে শুধু বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক প্রস্তুত করা অ্যাপস থেকে সংগ্রহ করা ট্রাভেল পাসধারী পর্যটকদের অনুমোদিত জাহাজে ভ্রমণ নিশ্চিত করা হবে। প্রতি বছর অক্টোবরের শেষ থেকে দ্বীপটি পর্যটন মৌসুম শুরু হয়। কিন্তু এবার নভেম্বরের শেষ সময় এসেও শুরু হয়নি পর্যটকের আনাগোনা। অনিশ্চয়তার কবলে রয়েছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল। এর মধ্যে দ্বীপে বসবাসকারী মানুষ নিজস্ব প্রয়োজনে কাঠের ট্রলার বা স্পিড বোট যোগে টেকনাফ আসা-যাওয়া করতেও প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছে। তাদের আসা-যাওয়া এখন নির্ভর করছে প্রশাসনিক অনুমতির ওপbrandbd6@gmail.com। সম্প্রতি স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়া বাংলাদেশের কোনো নাগরিক দ্বীপে যেতে চাইলে লিখিত অনুমতির শর্ত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড কর্তৃক প্রস্তুত করা অ্যাপস থেকে ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করতে হবে। এ জন্য অ্যাপটি ডাউনলোড করে ইনস্টল করার পর জাতীয় পরিচয়পত্রের মাধ্যমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধনের পরেই প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করে অনলাইনেই ট্রাভেল পাস সংগ্রহ করা যাবে। এই ট্রাভেল পাস দেখিয়ে টেকনাফ থেকে ছেড়ে যাওয়া জাহাজে উঠতে হবে। অ্যানড্রয়েড ফোনের জনপ্রিয় অ্যাপ স্টোর গুগল প্লে স্টোর ভিজিট করে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডের কোনো অ্যাপ এখন পর্যন্ত খুঁজে পাওয়া যায়নি। অ্যাপটি এখনো নির্মাণের পর্যায়ে রয়েছে।