লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ বলেছেন, পড়ালেখা করে অন্ধ শিক্ষার্থীরা চাকরি করবে। তারা যদি পড়ালেখা না করত, তাহলে অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত থাকত। এখন তারা পড়ালেখা করে জ্ঞান অর্জন করছে। চাইলেও তারা ভিক্ষাবৃত্তি করবে না।
তিনি বলেন, সত্যিই আমি মুগ্ধ হয়েছি এ মাদরাসায় আসার পর। আমি সময় করে একদিন তাদের সঙ্গে খাবার খাব, গল্প করব, সময় কাটাব। যারা এ মহৎ উদ্যোগ নিয়ে প্রতিষ্ঠান পরিচালনা করছেন তাদের সাধুবাদ জানাই।
বুধবার (৩১ জানুয়ারি) রাত ৯টার দিকে লক্ষ্মীপুর পৌরসভার (৭ নম্বর ওয়ার্ড) সমসেরাবাদ এলাকায় ‘আব্দুল গনি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ব্রেইল হাফিজিয়া ও ফোরকানিয়া মাদরাসায়’ শীতবস্ত্র বিতরণকালে পুলিশ সুপার এসব কথা বলেন।
অন্ধ শিক্ষার্থীদের মাঝে কম্বল বিতরণ করতে গিয়ে তাদের মুখে কোরআন তেলাওয়াত ও ইসলামি গজল শুনে মুগ্ধ হন লক্ষ্মীপুর পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদ।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে ২৪ জন অন্ধ শিক্ষার্থীর হাতে পুলিশ সুপার শীতবস্ত্র তুলে দেন। এসময় চারজন শিক্ষককের মাঝেও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
এসময় পুলিশ সুপারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন- অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. হাসান মোস্তফা স্বপন, (সদর সার্কেল) মো. সোহেল রানা, বিশেষ শাখার (ডিআইও-১) একেএম আজিজুর রহমান মিয়া ও শহর পুলিশ ফাঁড়ির (ইনচার্জ) জহিরুল আলম প্রমুখ।
এর আগে পুলিশ সুপার শহরের ঝুমুর ট্রাফিক চত্বর এলাকায় অসহায় নারী-পুরুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন।
উল্লেখ্য, ২০ জানুয়ারি রাত পৌনে ১২টা থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত মেঘনা নদীর কূলে মানতা জনগোষ্ঠী, বিভিন্ন হাট-বাজারে ছিন্নমূল মানুষ ও জেলা শহর এলাকায় অসহায় মানুষের মাঝে কম্বল বিতরণ করেন পুলিশ সুপার।