সালথা থানা পুলিশ জানান, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইতির সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে পার্শ্ববর্তী ফরিদপুর সদর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের প্রতাপপুর গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা (২২)। ইতির মা প্রবাসে থাকে আর বাবা ও ভাই জীবিকার তাগিদে বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দিনমুজুরের কাজ করেন। গত ১৪ মার্চ ইতি বাড়িতে একা ছিল। এই সুযোগে বখাটে সোহেল মেয়েটির বাড়িতে এসে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে।
ধর্ষণের ঘটনার নির্যাতিত স্কুলছাত্রীর বাবা সিদ্দিক বিশ্বাস বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সালথা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর গত ২০ এপ্রিল দিবাগত রাতে পটুয়াখালি থেকে অভিযুক্ত সোহেলকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। বর্তমানে অভিযুক্ত সোহেল কারাগারে রয়েছেন।
ইতির পরিবারের সদস্যরা জানান, অভিযুক্ত সোহেল গ্রেপ্তার হওয়ার পরও উভয় পরিবার মিমাংসার চেষ্টা করে। তবে ইতিকে বিয়ে করতে রাজি হয়নি অভিযুক্ত সোহেলের পরিবার। যে কারণে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিল ইতি। বুধবার নিজ ঘরের আড়ার সাথে ইতির লাশ ঝুলতে দেখে তার পরিবার। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে বিকেলে ফরিদপুরের সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান জানান, ধর্ষণের শিকার ইতির লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। আমরা যতটুকু জানতে পেরেছি, ইতির পরিবার অভিযুক্ত সোহেলের সাথেই বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিল। এতে সোহেলের পরিবার রাজি না হওয়ায় অভিমান করে গলায় ফাঁস দিয়ে ইতি আত্মহত্যা করে বলে প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে।