1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ০২:৩৯ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নীলফামারীতে পুলিশ ট্রেইনি রিক্রুট কনস্টেবল পদে নিয়োগ পরিক্ষা শুরু পাহাড়গাঁও সমাজকল্যাণ পাঠাগারের কার্যকরি অফিস উদ্বোধন টঙ্গীবাড়ীতে প্রকাশ্যে কাটা হচ্ছে ফসলি জমিন বাধা নেই প্রশাসনের নেত্রকোনায় শিশু ধর্ষকের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া মেঘনা ব্রিজের উপর রড বোঝাই ট্রাক উল্টে দীর্ঘ যানজট মুন্সিগঞ্জের গজরিয়ায় ইয়াবাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক জনপ্রিয় ব্যান্ড সঙ্গীতশিল্পী সৈয়দ হাসানুর রহমানের জন্মদিন আজ ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের পাশে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় পিডিএফ মঠবাড়িয়া নিউ মার্কেট খালের উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পদুয়া বসাক পাড়ায় গীতাযজ্ঞ ও মহতী ধর্ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ফরিদপুরে বৃদ্ধা ভিক্ষুকের টাকা মেরে দিলেন ইউপি চেয়ারম্যান

নাজিম বকাউল
  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ৩ জুন, ২০২৪
  • ১৯২ বার পড়া হয়েছে
মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী হারান ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার চরযশোরদি ইউনিয়নের বড় শ্রীবদ্দি গ্রামের ৮২ বছর বয়সি কুটি খাতুন। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে নিজের জীবন বাঁচাতে লড়াই করে আসছেন তিনি। তবুও করেননি বিয়ে।
পেটের তাগিদে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন-যাপন করছেন তিনি। বসবাস করছেন প্রতিবেশির ঝুপরি ঘরে। এমন অবস্থায় শেষ বয়সে একটি সরকারি ঘরে মাথা গোঁজার স্বপ্ন দেখেন আর সেই স্বপ্ন পুরণের জন্য গত ২ বছর আগে ভিক্ষা করে জমানো ১৫ হাজার টাকা তুলে দেন স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের হাতে।
তবে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, এখনো মেলেনি তার সরকারি ঘর। এমনকি ফেরত পায়নি টাকা। তাছাড়া এখন পর্যন্ত কোনো ভাতার তালিকায় তার নামও ওঠেনি বলে জানা গেছে। অসহায় কুটি খাতুন বড় শ্রীবরদী গ্রামের মৃত ইউসুফ মাতুব্বরের স্ত্রী। ভুক্তভোগী কুটি খাতুনের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
সরেজমিনে গেলে প্রতিবেশীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধের বছর মারা যান কুটি খাতুনের স্বামী। তার দুটি ছেলে সন্তান থাকলেও তারা কেউ মায়ের দেখভাল করে না। স্বামীর সম্পত্তি বলতে এক টুকরো ভিটা থাকলেও মাথা গোঁজার মতো ঘর ছিলো না। প্রতিবেশির একটি ঝুপরি ঘরে থেকে ভিক্ষা করে পেট চালান তিনি। বর্তমানে অনাহারে অর্ধাহারে কাটছে তার জীবন।
ভুক্তভোগী কুটি খাতুন অভিযোগ করে বলেন, সরকারি ঘর দেওয়ার কথা বলে গত ২ বছর আগে চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সাহেব ফকির আমার কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকা নেয়। কিন্তু টাকা নিলেও ঘর দেয়নি। আমি ঘরের জন্য অনেক ঘুরেছি, লাভ হয়নি। এখন দুই হাত তুলে আল্লাহর কাছে বিচার চেয়েছি।
এ ব্যাপারে কুটি খাতুনের ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য নাসির নাসির খান জানান, ওই বৃদ্ধা মহিলা বারবার আমার কাছে এসে ঘর ও টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি জানিয়েছে। আমি চেয়ারম্যানকে বিষয়টি অবগত করলেও তিনি গুরুত্ব দেননি।
অভিযুক্ত চরযোশরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ কামরুজ্জামান সাহেব ফকির জানান, কুটি খাতুনকে আমি চিনিই না। তবে শুনেছি, সরকারি ঘরের জন্য পাচী নামে এক মহিলা তার আত্মীয়কে ১৩ হাজার টাকা দিয়েছিলো। সেই টাকা পাচী ফেরতও দিয়েছে। এখন আমার নামে মিথ্যা অভিযোগ ছড়াচ্ছে।
ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাফী বিন কবির জানান, বিষয়টি তদন্ত করে টাকা নেওয়ার প্রমান মিললে অভিযুক্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাছাড়া অসহায় এই মহিলাকে অতি দ্রুত  সরকারী ভাতার আওতায় আনা হবে।
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com