ফরিদপুরের ভাঙ্গায় এক স্কুল শিক্ষার্থীর উত্তক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২ গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার হামেরদী ইউনিয়নের মুনসুরাবাদ বাজারে এ ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। সংঘর্ষে ১৫জন গ্রামবাসী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে রাকিব, সোহাগ ও জুবায়ের নামে ৩ জনকে ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি আহতরা স্থানীয় চিকিৎসা নিয়েছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি থমথম ভাব বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
পুলিশ ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, মুনসুরাবাদ গ্রামের শওকত শেখের পুত্র জুবায়েরের সঙ্গে পাশ্ববর্তী খাপুরা গ্রামের দেলোয়ার শেখের পুত্র রাকিবের সাথে প্রেম সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে ৩ দিন আগে ঝগড়া হয়। মুনসুরাবাদ গ্রামের জুবায়ের খাপুরা গ্রামের রাকিবের এক আত্মীয় স্কুলছাত্রীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছে দীর্ঘদিন । রাকিব এতে বাধা দেয় এবং জুবায়েরকে খাপুরা গ্রামে আসতে নিষেধ করে।
রোববার বিকালে জোবায়ের খাপুরা গ্রামে তার ডেকোরেটর ভাড়া দেয়। সেখান থেকে ফেরার পথে রাকিবকে রাস্তায় একা পেয়ে তার মোটরসাইকেল রাকিবের উপর উঠিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে দুইজনের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে বিষয়টি ২ গ্রামবাসীর মাঝ পৌছালে দুই গ্রামের বাসিন্দারা ঢাল- সরকি,রামদা প্রভৃতি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মুনসুরাবাদ বাজারে জড়ো হয়ে ধাওয়া পালটা ধাওয়া শুরু করে। সংঘর্ষের ঘটনায় ১৫ জন লোক আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সোমবার
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থানার এসআই মনির হোসেন জানান, সংঘর্ষের সংবাদ পেয়ে ভাঙ্গা থানার ওসিসহ আমরা ৩ গাড়ি পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছাই। লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি শান্ত করি। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।