ফিলিস্তিনের গাজায় পাশবিক হামলা ও নিরীহ গাজাবাসীকে নৃশংসভাবে হত্যার প্রতিবাদে জয়পুরহাট জেলা, কালাই উপজেলা আজ(৭ এপ্রিল) আন নাজাত ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিক্ষোভ ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশটি কালাই উপজেলা বাসস্ট্যান্ডে থেকে শুরু হয়ে পাঁচশিরা বাজার প্রদক্ষিণ শেষে আবার বাসস্ট্যান্ডে এসে বিক্ষোভ সমাবেশটি শেষ হয়। মিছিল থেকে ‘বিশ্ব মুসলিম ঐক্য গড়ো, ফিলিস্তিন স্বাধীন করো’, ‘দুনিয়ার মুসলিম এক হও লড়াই করো’, ‘ইসরায়েলের কালো হাত, ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও’-সহ নানা স্লোগান দেওয়া হয়। একই সঙ্গে মিছিল থেকে ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের ডাক দেওয়া হয়। পথসভায় বক্তারা বলেন, ‘যুদ্ধবিরতির মধ্যেও ফিলিস্তিনের নারী ও শিশুদের হত্যা করা হচ্ছে। ইহুদিবাদীরা গাজায় যে অপরাধযজ্ঞ চালাচ্ছে তা সকল আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন । বক্তারা ইহুদীবাদী সেনাদের এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং তাদের এই নৃশংস অপরাধযজ্ঞ বন্ধ করতে মুসলিম বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপ নেয়ার আহবান জানান। সম্প্রতি যুদ্ধবিরতির শর্ত লঙ্ঘন করে ইসরাইলি সেনাবাহিনী গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে পুনরায় সামরিক আগ্রাসন শুরু করে। নতুন করে শুরু হওয়া এই হামলায় এখন পর্যন্ত ৭৩০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি শহীদ এবং ১,৩৬৭ জন আহত হয়েছেন। এরফলে ৭ অক্টোবর, ২০২৩ থেকে গাজায় শহীদের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০,০৮২ জনে এবং আহতের সংখ্যা ১,১৩,৪০৮ জনে দাঁড়িয়েছে। গাজা উপত্যকার বিরুদ্ধে ইসরাইলের আগ্রাসন পুনরায় শুরু হওয়ার পর বিশ্বব্যাপী নিন্দার ঝড় উঠেছে। বক্তারা বলেন, অনতিবিলম্বে এই হত্যা বন্ধ করতে হবে। এসময় ইসরাইলকে বিশ্বের মানচিত্র থেকে গণহত্যার দায়ে মুছে ফেলার আহ্বান করেন তারা। তারা আরও বলেন, আমেরিকার মত যেসব দেশ এমন গণহত্যা দেখে নিশ্চুপ তাদেরও বয়কট করতে হবে। পাশাপাশি মুসলিম দেশগুলো কাপুরুষতার পরিচয় দিচ্ছে, যার জন্যই সুযোগ পাচ্ছে ইসরাইল। অনতিবিলম্বে মুসলিম দেশগুলোকে এক কাতারে এসে এই গণহত্যার প্রতিবাদের আহ্বান করেন তারা। এসময় বাংলাদেশ সরকারকে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানান তারা। পথসভায় বক্তব্য রাখেন, কালাই আহলে হাদিস মসজিদের ইমাম মাওলানা সেলিম রেজা, কালাই বিএম কলেজের অধ্যক্ষ তাইফুল ইসলাম ফিতা,উপজেলা মডেল মসজিদের ইমাম মাওলানা মামুনুর রশীদ,কালাই উপজেলা জামায়াতের আমীর মোঃ মুনছুর রহমান,বিএনপি নেতা আব্দুল আলীম, কালাই উপজেলা যুব অধিকার পরিষদ এর দপ্তর সম্পাদক মো সুমন মন্ডল এই বিক্ষোভ সমাবেশ উপস্থিত ছিলেন কালাই উপজেলা বিভিন্ন ইসলামী সংগঠন, সামাজিক-রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, মসজিদের ইমাম, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী ও হাজারো সাধারণ মানুষ অংশগ্রহণ করেন। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ মুসলিম বিশ্বের শান্তিকামনা করে দোয়া ও মোনাজাতের মাধ্যমে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি মিছিল ও সমাবেশ সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।