ইসরায়েল কর্তৃক ফিলিস্তিনে চলমান নৃশংস গণহত্যার প্রতিবাদে খুলনার শিববাড়ি মোড়ে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। সোমবার (৭ মার্চ) বিকাল সাড়ে ৩ টায় এ প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের ঢল নামে এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে। যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি পশ্চিমা দেশের সরাসরি মদদে ইসরায়েল ফিলিস্তিনের উপর যে বর্বরোচিত হামলা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাতে এই কর্মসূচি করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে খুলনা জেলা ও মহানগর বিএনপি, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তারা বলেন, ফিলিস্তিনে শিশু নারীসহ নিরস্ত্র মানুষের উপর যে গণহত্যা চলছে তা মানবতার চরম লঙ্ঘন। এসময় তারা ইসরায়েলি পণ্য বর্জনের আহ্বান জানিয়েছেন সচেতন জনসাধারণের নিকট।
এছাড়াও ফিলিস্তিনের পক্ষে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে জোরালো ভূমিকা রাখার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। সেই সঙ্গে দেশের সকল নাগরিককে ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধির আহ্বানও তারা জানান।
উল্লেখ্য, এই কর্মসূচির মাধ্যমে খুলনার জনগণ এক কণ্ঠে ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নেন এবং মানবতার পক্ষে রুখে দাঁড়ানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
সমাবেশ শেষে বিক্ষুব্ধ জনতা নগরীর শিববাড়ি মোড়ে হোটেল টাইগার গার্ডেনে অবস্থিত বাটা শো-রুম এবং ময়লাপোতা মোড়ে কেএফসি ও ডোমিনোস পিজ্জা ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাট চালিয়েছে। ঘটনার পর পুলিশ, র্যাব এবং যৌথ বাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। বর্তমানে বাটা শোরুমের সামনে পুলিশ এবং র্যাবের সদস্যরা অবস্থান করছে।
বাটা শো-রুমের এক কর্মচারী বলেন, মাগরিবের নামাজের পর দেড়শ থেকে দুইশ বিক্ষুব্ধ জনতা শোরুমের ভিতর ঢুকে ভাঙচুর শুরু করে। এ সময় শোরুমের ম্যানেজার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বাধা দিতে গেলে তাকে মারধর করে আহত করা হয়। এছাড়া একজন নিরাপত্তা কর্মীও আহত হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, হামলাকারীরা শো-রুমের ৮০ শতাংশ মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়। যার আনুমানিক মূল্য ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা। এছাড়াও শোরুমের আসবাবপত্র, চেয়ার, টেবিল, গ্লাস, কম্পিউটার ভাঙচুর করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে হামলাকারীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।