ফেনীতে নি¤œমানের কাজের অভিযোগে মামলা ও ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূণ দাবীতে গতকাল সোমবার বিকালে ফেনী প্রেসক্লাবে ডেভলপার কোম্পানী তুরাবা হাউজিং এর এমডি সাহাদাত হোসেন ফয়সালের বিরুদ্ধে ভূমি মালিক ও ফেনী সদর উপজেলা বিএনপির আহবায়ক ফজলুর রহমান বকুল সংবাদ সম্মেলন করেছেন। তিনি বাদী হয়ে ফেনী সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাহাদাত হোসেন ফয়সালেরর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে ফেনী শহরের মাস্টার পাড়ায় ৬ শতাংশ জায়গায় মালিক পক্ষের ৫০% ও ডেভলপার কোম্পানীর ৫০% চুক্তিতে ফ্লাট নির্মাণ করার শর্ত ভঙ্গ ও প্রতারণা পূর্বক বিশ্বাস ভঙ্গ করে আত্মগোপনে চলে যায় ফয়সাল। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অর্ন্তবর্তীকালী সরকার গঠনের পর ফয়সালকে না পেয়ে মোবাইল ফোনে প্রতারণার কথা জিজ্ঞেস করা হলে সে জায়গার মালিকের সাথে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেও কার্যত কোন কিছুই হয়নি। এরপর একদিন ট্রাংক রোডের কেন্দ্রীয় বড় জামে মসজিদের সামনে ফয়সালের সাথে দেখা হলে অসমাপ্ত কাজের বিষয় জিজ্ঞেস করলে সব কিছু অস্বীকার করেন। এসময় স্বাক্ষীগণ উপস্থিত হলে সে হুমকি-ধমকি প্রদান করে দ্রুত সরে পড়ে। এরপর বিভিন্ন গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বিষয়টি অবহিত করলে ফয়সাল একজন প্রতারক উল্লেখ করে বলেন সে বিভিন্ন জায়গায় মানুষের সাথে প্রতারণা করে আসছে। তার বিচার ব্যক্তি পর্যায়ে হবে না বলে আদালতে মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বিল্ডিং নির্মাণ করার সময় তদারকী করতে পারেননি। সেই সুবাদে ফয়সাল একেবারে নি¤œমানের কাজ করেছে বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
বকুল আরো বলেন, ফয়সাল পুরো বিল্ডিং এর কাজ নি¤œমানের করেছে। সে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে সেখানে রট, সিমেন্ট, লিফট, দরজা ও জানালাসহ যাবতীয় আসবাবপত্র সম্পূর্ণ নি¤œমানের করেছে। পুরো বিল্ডিং অনেকটা ব্যবহার অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। বিল্ডিং এর বসবাস করীদের খাবার ও ব্যবহারের জন্য ডিপ টিউবওয়েল বসানোর কথা থাকলেও সেটাও সেই করেনি। ১০০ কেবিএ ক্ষমতা সম্পূর্ণ একটি উন্নত মানের জেনারেটর বসানোর কথা ছিল সেটাও সে করেনি। ভবনের নকশা বহির্ভূতভাবে আবাসিক ভবনের দ্বিতীয় তলা পর্যন্ত বাণিজ্যিক ভবনে রূপান্তর করে। একজন সিকিউরিটি গার্ড, নিরাপত্তা গেইট নির্মাণ করার কথা ছিল। অর্থাৎ চুক্তিতে যেসব শর্ত ধার্য ছিল সেই কিছুই তোয়াক্কা করেনি। সে তৎকালীন সময়ে স্থানীয় প্রভাবশালীদের আশ্রয় নিয়ে চুক্তিপত্রকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সকল কাজ নিজ ইচ্ছামতো নি¤œমানের করেছে। যার কারণে প্রায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূর্ণ দাবী করেন জায়গার মালিক বকুল। এই বিল্ডিং ছাড়াও সে শহরের যেসব এলাকায় বিল্ডিং নির্মাণ কাজ করেছে সব জায়গায় তার বিরুদ্ধে নি¤œমানের কাজের অভিযোগ পাওয়া গেছে।