গত ৩ আগস্ট মানবপা-চাকারী ও জা-লজালিয়াতি চ-ক্রের স-ক্রিয় সদস্য মোঃ আব্দুল মান্নান (৩৪)কে
মহিপাল হীরা হোটেলের পাশে ফারহান ট্রাভেলস কাউন্টারের সামনে হতে আটক করা হয়েছে।
এসময় তার হেফাজতে থাকা দুইজন রোহিঙ্গা শরণার্থী মোঃ আরাফাত (২৫), পিতা-মোঃ তৈয়ব, মাতা-ফাতেমা আক্তার ও রমিদা (২৬), পিতা-আশিউর রহমান, স্বামী-জুবায়ের, উভয় সাং-বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্প নং-১০, ব্লক-#৩০, থানা-উখিয়া, জেলা-কক্সবাজার দ্বয়কে হেফজতে নেন।
গ্রেফতারকৃত পরশুরাম উপজেলার কালিকৃষ্ণনগর নতুন বাড়ি গ্রামের পিতা শফিকুর রহমান ও মাতা সুফিয়া আক্তারের ছেলে আব্দুল মান্নান রোহিঙ্গা দুই নাগরিককে অর্থের বিনিময়ে প্রলুব্ধ করে শরণার্থী ক্যাম্প হতে কৌশলে বাহির করে অবৈধ ভাবে অন্যের এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয় পত্র তৈরি করে মানব পাচার করে আসছিল ।
এ সময় আব্দুল মান্নানের নিকট হতে বিভিন্ন নামের তিনটি পাসপোর্ট, প্রচুর সংখ্যক পাসপোর্ট তৈরির কাগজপত্র, জাল সীল, সতেরটি বিভিন্ন নামের জাতীয় পরিচয় পত্র, একই ব্যক্তির ভিন্ন ঠিকানা সম্বলিত জাতীয় নিবন্ধন তথ্যের ফটোকপিসহ ভিকটিমদের নিকট হতে নেয়া নগদ ৯,৭০০/-টাকা জব্দ করা হয়।
আসামী দীর্ঘদিন যাবত নকল এনআইডি তৈরিসহ অন্যের এনআইডি ব্যাবহার করিয়া অবৈধ ভাবে পাসপোর্ট তৈরিতে সহায়তা করিয়া আসছে।
জাল জাতীয়তা সনদ তৈরি করন এবং দালালির মাধ্যমে লোকজনকে প্রচুর অর্থের বিনিময়ে পাসপোর্ট তৈরিরসহ বিদেশে কর্মসংস্থানের কথা বলিয়া মানব পাচারের কার্যক্রম করে আসছে। এসব কাজে তার সহযোগী অন্যান্য পলাতক আসামীদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করেন। পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে গ্রেফতার অভিযান অব্যহত আছে। মানব পাচারকারী আব্দুল মান্নান এক লক্ষ টাকা অর্থের বিনিময়ে বিদেশে পাচারের উদ্দেশ্যে আশ্রয়ে অপরের ব্যবহৃত পাসপোর্ট, এনআইডি কার্ড, জাল সিল ব্যবহার করিয়া ভূয়া নাগরিক সনদপত্র তৈরী করেছে…..!
তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।