বাংলাদেশে স্বাধীন মতপ্রকাশের অধিকার ও রাজনৈতিক মতাদর্শের প্রকাশ নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। বিশ্বব্যাপী যেখানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম গণতন্ত্রের অন্যতম হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, সেখানে ফেসবুক ও ইউটিউবে আওয়ামী লীগের পক্ষে কথা বললেই গ্রেপ্তার হওয়ার অভিযোগ রাজনৈতিক অঙ্গনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, দেশের অভ্যন্তরে আওয়ামী লীগের সমর্থক বা নেতাকর্মীরা যদি গোপনে কোথাও বৈঠক, সমাবেশ বা মিছিল করেন, তাহলে সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করতে পারে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে ফেসবুক বা ইউটিউবে কেউ যদি আওয়ামী লীগের পক্ষে পোস্ট দেন, মন্তব্য করেন, কিংবা কোনো ভিডিও প্রকাশ করেন, তাকেও গ্রেপ্তার বা হয়রানির মুখে পড়তে হচ্ছে।এমনকি, প্রবাসে অবস্থানরত ব্যক্তিরাও এই ধরনের কার্যক্রম চালালে তাঁদের বিরুদ্ধেও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে অভিযোগ রয়েছে।রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মানবাধিকারকর্মীরা বিষয়টিকে অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন। তাঁদের মতে, এটি শুধু মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নয়, বরং গণতান্ত্রিক চর্চার ওপরও বড় ধরনের আঘাত।
একজন জ্যেষ্ঠ রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন,
“যখন কোনো রাষ্ট্রে একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শ প্রকাশ করাকেও অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তখন সেটি গণতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থার জন্য বিপদসংকেত।”
এই পরিস্থিতিতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মতপ্রকাশকারী সাধারণ নাগরিকরাও আতঙ্কে রয়েছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এ ধরনের অবস্থানের ফলে বিরোধী মত দমন নয়, বরং একমুখী রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টি হচ্ছে বলে অনেকে আশঙ্কা করছেন।