ফ্যাসিবাদ নির্মূল ও আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধ না করে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীরা ঘরে ফিরবে না বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নূর।
আজ শুক্রবার,২৫ এপ্রিল ২০২৫, বিকাল চারটায় মোহাম্মদপুরের বসিলা বাসস্ট্যান্ডে গণঅধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে “জুলাই-আগষ্টে গণহত্যার বিচার ও আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে” আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
গণ অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি মোঃ মিজানুর রহমান ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে গণ অধিকার পরিষদের গুলিবিদ্ধ কর্মী রাসেল ও অলিউল্লাহকে পাশে নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভিপি নূর আরো বলেন, জুলাই আহতদের বিদেশে চিকিৎসা নিয়ে আমলাদের কালক্ষেপণ বরদাস্ত করা হবে না।তিনি বলেন, প্রকৃতপক্ষে গণহত্যার বিচার করতে পারলে আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের কাজ শতকরা ৯০ ভাগ সম্পন্ন হয়ে যাবে। বাকি ১০ ভাগ আমরা আন্দোলন করে আদায় করে নিবো।
মোহাম্মদপুর এলাকায় ছিনতাই ও চাঁদাবাজির প্রসঙ্গে তিনি গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীসহ সাধারণ নাগরিকদের সোচ্চার ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।তিনি জোর দিয়ে বলেন, দখলদারিত্ব ও চাঁদাবাজির ক্ষেত্রে পূরনো বন্দোবস্তই বহাল আছে শুধু দলবদল হয়েছে।গণঅধিকার পরিষদের কোনো নেতাকর্মী চাঁদাবাজির সাথে জড়িত নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, সাধারণ নাগরিক, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে গণ অধিকার পরিষদের সদস্যরা চাঁদাবাজ, দখলবাজ ও নৈরাজ্য সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ভুমিকা রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, লড়াই করে জেল জুলুম সহ্য করে ফ্যাসিস্টের পতন ঘটিয়েছি, জীবন থাকতে নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ সৃষ্টি হতে দিবো না, ইনশাআল্লাহ।
গণসমাবেশ শেষে ভিপি নুরুল হক নূরের নেতৃত্বে একটি বিশাল মিছিল বসিলা বাসস্ট্যান্ড থেকে শুরু হয়ে মোহাম্মদপুর বেরিবাঁধে গিয়ে শেষ হয়।
গণসমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর সদস্য এডভোকেট নুরে আশরাফ সিদ্দিকী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার কাজী রহিম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক সবুজ খাঁন,ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি গোলাম রব্বানী, সাধারণ সম্পাদক রুবেল হোসেন, দোহার থানা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুল জব্বার প্রমুখ।