বগুড়ার শাজাহানপুরে প্রকাশ্যে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে আহত যুবক আল আমিন (৩০) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। শনিবার (২ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। নিহত আল আমিন উপজেলার খরনা ইউনিয়নের ভাদাইকান্দি গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে।
এর আগে , গত সোমবার সকালে ব্যবসায়িক কাজে বগুড়া শহরে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার পথে আল আমিনের ওপর অতর্কিতে হামলা চালায় ১০-১২ জন দুর্বৃত্ত। বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হামলাকারীরা প্রকাশ্য দিবালোকে তাকে রাস্তায় ঘিরে ধরে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতসহ হকিস্টিক, রামদা ও হাতুড়ি দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে। স্থানীয়রা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।
আহতের চাচা জাহিদ হাসান বাদী হয়ে শাজাহানপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলায় এলাকারই কয়েকজনকে নামীয় আসামি করা হয়।
হাসপাতালে মৃত্যুর আগে সাংবাদিকদের কাছে আল আমিন বলেন, তুই মামলা তুলে নে, না হলে দুই লাখ টাকা দে, আর না হলে জীবনটা দিয়ে দে—এমন হুমকি দিয়েছিল হামলাকারীরা।
এজাহার সূত্রে জানা গেছে, পূর্বের জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিবেশী নুরুল ইসলাম ও তার দুই ছেলে আতিকুল ইসলাম এবং আল মাহমুদ তাদের পালিত সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পরিকল্পিতভাবে আল আমিনের ওপর হামলা চালায়। হামলায় বাধা দিতে এলে আল আমিনের বাবা আফজাল হোসেনকেও পিটিয়ে দুই পা ভেঙে দেয় তারা।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম বলেন, “আহত অবস্থায় যে মামলা দায়ের করা হয়েছিল, এখন আল আমিনের মৃত্যুর পর তা হত্যা মামলায় রূপান্তর করা হবে। আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।