বগুড়া জেলার আদমদীঘিতে বিএনপি অফিস ও সান্তাহার যুবদলের অফিসে হামলা, ককটেল বিস্ফোরণ সংক্রান্ত দুই নাশকতা মামলায় আত্মগোপনে থাকা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রানা আহম্মেদ (৩৬) ও সান্তাহার শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রকিকে (৩৬) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার (৬ আগষ্ট) সকালে পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে নিজ এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত রানা আহম্মেদ আদমদীঘি উপজেলার শিয়ালসন গ্রামের মোবারক হোসেনের ছেলে ও আদমদীঘি সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং রেজাউল ইসলাম রকি সান্তাহার সাঁতাহার পাড়ার এসএম লুৎফর রহমানের ছেলে। সে সান্তাহার শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক বলে জানাগেছে। পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ২০২৪ সালের ৪ আগষ্ট আদমদীঘিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে ঠেকাবার জন্য আওয়ামীলীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মিরা ককটেল, লাঠি সোডাসহ ধারালো অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আদমদীঘি সদরে বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত বিএনপির অফিসে হামলা, আসবাবপত্র ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় ২০২৪ সালের ২৫ আগস্ট আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের নাম উল্লেখ-সহ অজ্ঞাত মোট ২৫০জনের নামে বিশেষ ক্ষমতা আইনে নাশকতা সংক্রান্ত একটি মামলা হয়। এ মামলায় গতকাল বুধবার সকালে ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রানা আহম্মেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। অপরদিকে একই সালের ১৯ আগষ্ট রাতে কয়েকটি মোটরসাইকেল যোগে একদল দুর্বৃত্ত সান্তাহার পৌরসভার চায়নার মোড় নামক স্থানে ৪নং ওয়ার্ড যুবদল অফিসে ভাংচুর ও ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতংক ছড়িয়ে অফিসে পেট্রোল ঢেলে আসবাবপত্রে অগ্নিসংযোগ করে। এ ঘটনায় আদমদীঘি থানায় সান্তাহার কলসা এলাকার পৌর ৪নং ওয়ার্ড যুবদলের সেক্রেটারি আশিক হোসেন বাদি হয়ে ৭০ জন আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মির নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতসহ মোট ২২৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় সান্তাহার শহর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল ইসলাম রকিকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই দিন দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের বগুড়া আদালতে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান।