বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ওয়াই এম বেলালুর রহমান বলেন, বগুড়া জিলা স্কুল শুধু বিদ্যালয়ই নয় এটি একটি মানুষ তৈরি করার কারখানা। বগুড়া জিলা স্কুল মানবিক মূল্যবোধ সমৃদ্ধ মানুষ গড়ে তোলে বগুড়া জিলা স্কুল। ১৮৫৩ সালে প্রতিষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তুলেছে হাজারো মানবিক মুল্যবোধ সম্পন্ন শিক্ষার্থী। যারা সমাজের বিভিন্ন স্তরে অবস্থান করে সমাজ, দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। বগুড়া জিলা স্কুল এমন একটি প্রতিষ্ঠান যে প্রতিষ্ঠান থেকে হাজারো শিক্ষার্থী সারাদেশে বিচরণ করছে সুনামের সাথে। বিদ্যালয়টি অতীতের যেমন মেধার স্বাক্ষর রেখেছে বর্তমানেও তেমনি মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। রাজশাহী বিভাগের মধ্যে তথা সারাদেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে বিদ্যালয়টি শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিনত হয়েছে। যার ফলে স্কুলের সুনাম চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে। আমরা এমন একটি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী হিসাবে গর্ববোধ করি।
২৭ জানুয়ারি শনিবার দিনব্যাপী বগুড়া জেলা স্কুল মাঠে ১৯৮৩ ব্যাচের এসএসসি’র ৪০ বছর পূর্তিতে শিক্ষার্থীদের মহাপূনর্মিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।১৯৮৩ পুনর্মিলনী ব্যাচের শিক্ষার্থী আব্দুলাহ ওয়াফির সভাপতিত্বে এবং ১৯৮৩ ব্যাচ শিক্ষার্থী ফিরোজ হামিদ খান রিজভীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জিলা স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক সামছুল হুদা ও বর্তমান প্রধান শিক্ষক শ্যামপদ মোস্তাফি, ৯৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী বাবু বসুধা, সাজেদুল বারি লিখন, আব্দুল লতিফ পশারী ববি, এম আর সাইলাম স্বাধীন, হারুন অর রশিদ, আব্দুলাহেল কাফি তারা, সাখাওয়াত শিপন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল সকালে জাতীয় সংগীত পরিবেশন শেষে প্যারট, শপথ গ্রহণ শেষে বেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে পুনর্মিণনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়।একই রঙের জ্যাকেট এবং গেঞ্জি পড়ে বর্ণাঢ্য রেলি বগুড়া শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। র্যালি শেষে ১৯৮৩ ব্যাচের প্রয়াত শিক্ষার্থীদের স্মরণে নীরবতা পালন করা হয়। পরে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হয়।
খেলায় প্রয়াত প্রধান শিক্ষক তাজমিলুর রহমান একাদশ ও প্রয়াত শিক্ষক রকিম উদ্দিন একাদশ টুর্ণামেন্টে তাজমিলুর রহমান একাদশ জয়লাভ করে।পরে বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে মডেল বিতরণ করা হয়। পরে গল্প আড্ডা বিনোদনমূলক হাউজি খেলায় মেতে উঠে প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা। এরপর সন্ধ্যায় জিলা স্কুল মাঠে আতশবাজি ফোটানো হয়। পরে ৮৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পরিবারবর্গের আগমন পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান নতুন মাত্রা পায় আগত শিক্ষার্থীদের সহধর্মিনীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় বালিশ খেলা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে রাফেল ড্র অনুষ্ঠিত হয়।নৈশ ভোজের মাধ্যমে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।