মোঃ নিশাদ (২৫), পিতা মোঃ ফজলুল হক, সাং হাটখোলা, শিবগঞ্জ, বগুড়া। ভিকটিম মোছাঃ সামিহা রহমান সকাল (১৭), পিতাঃ মোঃ সাহিদুর রহমান, সাং- শাখারিয়া গোলাবাড়ী, বগুড়াকে ২০২১ সালে ক্লাস সেভেনে পড়া অবস্থায় প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে বেশ কিছুদিন ধরে উত্তপ্ত করে আসছিল। মোঃ নিশাদ (২৫) অবুজ নাবালিকা মেয়েকে নিয়া বগুড়া শহরের চারমাথায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়া বিভিন্ন প্রকার প্রলোভন দিয়া জোড়পূর্বক ধর্ষণ করত গোপন ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। বাদিনী ভিকটিমের মা মোছাঃ মাহফুজা রহমান বুবলি (৩৭) বিষয়টি জানিতে পারিলে ভিকটিম আসামীর সাথে যোগাগোগ বন্ধ করিয়া দেয়। এতে আসামী ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে এবং ভিকটিমের ক্ষতি করার হুমকি দিতে থাকে। এমতাবস্থায় আসামী একটি ফেক ফেসবুক আইডি খুলে ২০২১ সালের গোপনে ধারণকৃত ধর্ষণের ভিডিও ভিকটিমের নাম ও ছবি ব্যবহার করিয়া নিজে ও তার সহযোগী অজ্ঞাতনামা আসামীদের সহায়তায় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছাড়িয়া দেয়। উক্ত ঘটনাটি আশে পাশের লোকজন জেনে গেলে আসামীগণ ভিকটিমের পরিবারকে মামলা না করার জন্য হুমকি এবং চাপ প্রয়োগ করতে থাকে। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় এজাহার নামীয় ১ জনকে আসামী করে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। মামলা নং-৩৩ তারিখ ০৭/০৭/২০২৫ ধারা ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) তৎ সহ পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ৮(১)/৮(৩)/৮(৭) ২০১২।
উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে র্যাব-১২, সিপিএসসি, আসামীকে দ্রুত গ্রেফতার করতে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে এবং গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, শিবগঞ্জ মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগখোলা গ্রামস্থ এলাকায় উল্লিখিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় ১নং পালাতক আসামী মোঃ নিশাদ (২৫) অবস্থান করছে। উক্ত তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১২, অধিনায়ক মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় মঙ্গলবার ৫ আগস্ট তারিখ রাতে সিপিএসসি বগুড়া, র্যাব-১২ এর একটি চৌকষ আভিযানিক দল মোকামতলা ইউনিয়নের ভাগখোলা গ্রামস্থ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে উল্লেখিত ধর্ষণ মামলার এজাহার নামীয় ১নং পলাতক আসামী মোঃ নিশাদ (২৫), পিতা মোঃ ফজলুল হক, সাং- হাটখোলা, শিবগঞ্জ ,বগুড়াকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত আসামীকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়৷