দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির প্রধান গেটের সামনে কর্মরত আউটসোর্সিং এর শ্রমিকরা চাকরি স্থায়ীকরনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানী লিমিটেডের আউটসোর্সিং অস্থায়ী কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আশরাফুল আলম বলেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি ধাপে ধাপে কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ হয়। এই ধারাবাহিকতায় মাস্টার রোল,ক্যাজুয়েল, হিসেবে কিছু শ্রমিক নিয়োগ প্রদান করে ১৯৯৯ সাল হতে ২০০৭ইং সাল পর্যন্ত এই শ্রমিক গুলোকে কয়েক বছর পর স্থায়ী নিয়োগ এর কথা দিয়েছিল ম্যানেজমেন্ট এর পক্ষ থেকে ঐ শ্রমিক গুলোকে নিয়োগ না দিয়ে আউটসোসিং এর মধ্যেই বেতন ভাতা দেওয়া শুরু করে। কাজের প্রয়োজনে আরো কিছু জনবল নিয়োগ করে। ১৯৯৯ সাল হতে ২০২৫ সাল পর্যন্ত শ্রমিক মোট সংখ্যা ২৭৬জন ২০০৮ সালের পর থেকে খনিতে কয়েক দফা কর্মকর্তা নিয়োগ করা হলেও কোন কর্মচারী নিয়োগ করা হয়নি। খনিতে কর্মরত ২৭৬ জন কর্মচারী সূচনালগ্ন থেকে অস্থায়ী কর্মচারী হিসেবে চাকরি করে আসলেও, খনি কর্তৃপক্ষ তাদের চাকরি স্থায়ী করেনি। আন্দোলনকারী শ্রমিকরা বলেন, তাদের চাকরি স্থায়ী করা না হলে, তারা কঠোর আন্দোলন গড়ে তুলবেন। আগামী ১০ দিনের মধ্যে দাবাদি দাবা মেনে না নেওয়া হলে আরো বৃহত্তম আন্দোলনের ঘোষণা দেন নেতৃবৃন্দ। এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন, বড়পুকুরিয়া আউটসোর্সিং স্থায়ী কর্মচারী কল্যান পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, শ্রমিক নেতা মনোয়ার হোসেন মুকুল, সামসুল আলম, ফাইজুল ইসলাম, আবু সাইদসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। এ বিষয়ে বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রক্রিয়া মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের ওপর ভিত্তি করে নেওয়া হবে। মন্ত্রণালয় মতামত না দেওয়া পর্যন্ত খনি কর্তৃপক্ষের কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ নেই।