নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন কণ্যা রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ছাত্রীনিবাস থেকে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি আনিকা মেহেরুন্নেসা(২৪) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থী ও সমন্বয়কের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্ত শেষে লাশটি আপন চাচা সানোয়ার হোসেনের কাছে হস্তান্তর করেন। ২৩ তারিখ রাত ১০ টা ৩০ মিনিটে জানাজা শেষে চাচা হাসানের কবরের পার্শ্বে দাফন কাজ শেষ করেন পরিবার সহ গ্রামবাসী। উক্ত ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বুয়েটের এক শিক্ষার্থীকে পুলিশ হেফাজতে জিজ্ঞাসা চলছে বলে পরিবার সুএে জানা গেছে । ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত ১১টায় এলিফ্যান্ট রোডের মকসুদ টাওয়ারের ৮ তলার একটি কক্ষে এ ঘটনাটি ঘটেছে। রাত পৌনে ২টার দিকে আনিকাকে ঢাকা মেডিকেলে নিলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানা গেছে অনিকা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দূর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী ছিলেন।তিনি ছাএ আন্দোলনে সমন্বয়কদের একজন ছিলেন। নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেনের কণ্যা, বাবা আওয়ামীলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থাকলে ও গ্রামের আলোকিত মেধাবী মেয়েটি বিগত আওয়ামীলীগের ফ্যাসিস্ট সরকারের বিরুদ্ধে গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে কঠোর ভুমিকায় ঢাকার রাজপথে সক্রিয় ছিল এবং জয়পুরহাটে সমন্বয়কের একজন হিসাবে রাজপথে কঠোর ভুমিকায় বক্তব্য রেখেছিলেন। নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিরাজ জানিয়েছেন , মকসুদ টাওয়ারের ৮ তলার একটি কক্ষ থেকে শিক্ষার্থীর দেহ উদ্ধার করা হয়। পরে ঢাকা মেডিকেলে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গ্রামের জুয়েল সহ কতিপয় স্বচেতন মহল জানান লাশটি যে ভাবে ফ্যানের সঙ্গে টাঙানো ছিল মেঝেতে হেঁটু লাগাছিল, এভাবে মানুষ মরতে পারেনা,তাকে হত্যা করা হয়েছে। চেয়ারম্যান ফিরোজ হোসেন কাঁন্না ও শোকাহত কন্ঠে বলে জুলুমবাজ ফাঁসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতন হবে দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসবে আব্বা। আনিকা গত ২৪ সালের ডিসেম্বর তার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন আমি সমন্বয়কদের একজন হয়েও নিজের পরিবার কে রক্ষা কষ্টসাধ্যব্যাপার হয়েছে। আনিকার অকাল মৃত্যু ইউনিয়নের স্বচেতন মহল মেনেনিতে পারছেনা, তারা সঠিক তদন্ত সহ সুবিচার কামনা করেন।মিঠাপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা নাহিদ আক্তার, কামকম্পিউটার সহকারী সচিব আনোয়ার হোসেন বলেন পিতার কাঁদে কণ্যার লাশ বড় কঠিন সাধন, বদলগাছী মডেল প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক এনাম বলেন চেয়ারম্যানের এই শুন্যতা কোন ভাবেই পূর্ণতা হতে পারে না মিঠাপুর বাসি একজন ভবিষ্যৎ মেধাবী কে হারালেন। রাতে পুরোটা গ্রাম ইউনিয়নের মানুষের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। অধিকাংশ মানুষ বুকফাটা কাঁন্নায় বলে এটি নির্মম অমানবিক নিষ্ঠুরতার সামিল।