বরগুনায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ভুয়া ডাক্তার ও অতিরিক্ত ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা দেওয়ার অভিযোগের ভিত্তিতে ৭ জনকে আটক করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস,এম শরিয়াত উল্লাহ।
শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় বরগুনা শের-ই-বাংলা ফার্মেসী পট্টি সড়কে অভিযান চালিয়ে ৭ জন ভুয়া ডাক্তার ও অতিরিক্ত ডিগ্রি ব্যবহার করার অভিযোগে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, (১) বিধান রঞ্জন সরকার, (২) জাহাঙ্গীর আলম, (৩) ইদ্রিসুল আলম, (৪) জহিরুল ইসলাম সৌরভ, (৫) মোয়াজ্জেম হোসেন লাভু, (৬) সিদ্ধার্থ বড়াল, (৭) এনায়েত হোসেন
আটককৃতদের প্রথমে বরগুনা সদর থানায় আনা হয়। পরবর্তীতে আটককৃত ৭ জন ভুয়া ডাক্তারকে বরগুনা চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাদের সার্টিফিকেট পর্যালোচনার জন্য আনা হলে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস,এম শরিয়াত উল্লাহ ও সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. রফিকুল ইসলাম এর মাধ্যমে সার্টিফিকেট যাচাই বাছাই করে বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৯ ধারায় বিধান রঞ্জন সরকার, জাহাঙ্গীর আলম, ইদ্রিসুল আলমকে ১ এক লাখ টাকা করে জড়িমানা করেন এবং তারা ডাক্তারি করবে না মর্মে অঙ্গিকার করেন।
আটককৃত জহিরুল ইসলাম সৌরভের সার্টিফিকেট দেখাতে না পারায় তাকে কোর্টের মাধ্যমে সত্যতা প্রমানের জন্য নিদের্শ প্রদান করেন। মোয়াজ্জেম হোসেন লাভু, সিদ্ধার্থ বড়াল ও এনায়েত হোসেন এর সার্টিফিকেট যাচাই করে সত্যতা পায় এবং অতিরিক্ত ডিগ্রি ব্যবহার না করার জন্য নিদের্শ দিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ ইকরাম হোসেন বলেন, এস,এম শরিয়াত উল্লাহ স্যারের নেতৃত্তে¡ ডিবি পুলিশের সহায়তায় অভিযান পরিচালনা করে ৭জন ভুয়া ডাক্তারকে আটক করা হয়। পরবর্তীতে যাচাই বাছাই করে ৩জনকে ১ লাখ টাকা করে জড়িমানা করা হয়।