বরগুনা জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মোঃ শাহজালাল রুমীর বিরুদ্ধে নানাবিধ অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী সংবাদ সম্মেলন করেছেন।মঙ্গলবার (০৬ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টায় বরগুনা প্রেসক্লাবের হলরুমে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।সংবাদ সম্মেলনে এলাকাবাসীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পুলিশ লাইন মাইঠা গ্রামের আঃ লতিফের পুত্র মোঃ মহসিন।
লিখিত বক্তব্যে মোঃ মহসিন জানান, বরগুনা জেলা ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মোঃ শাহজালাল রুমী একজন মাদ্রাসা শিক্ষক, অসৎ মনের মানুষ। তার নিকটতম আত্মীয় ও কাছের সহযোগীদের নিয়ে বিভিন্ন সময় একত্র হয়ে জমি দখল, মারামারি, ঝগরা ঝাটি সৃষ্টি করে মানুষকে জিম্মি করা তার কাজ। তার ভয়ে এলাকার লোকজন কথা বলতে পারে না। বিগত দিনে নিজেদের বংশের মধ্যে বিবাদ বিরোধ সৃষ্টি করে খুন খারাপি মারামারি করে আসতেছে এবং একাধিক মামলা মোকদ্দমা হয়েছে। ইতিপূর্বে একই বংশের বজলুর রহমানকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে জমি দখল করে নেন।রহিম, হাফেজ হারুন, রুহুল আমিন, মিজান, ইসমাইল, আঃ জলিল এদের জমিতে তারা রাতের আঁধারে ঘর তোলেন। ৯০ বছর পূর্বের বসত ভিটা হইতে উচ্ছেদের চেষ্টা প্রতিনিয়ত চালাইতেছেন। তাহার আমার সাথে উপস্থিত আছেন। এদের যন্ত্রণায় এলাকার কোন লোকজন অতিষ্ঠ থাকে। বিগত জুন মাসে ৪ তারিখে ঐচক্র একটা পরিবারের সকল সদস্যকে মারধর করে লুটপাট করে স্বর্ণালংকার ছিনিয়ে নেয়।
প্রতিবেশীর বসত ঘরের সম্মুখে রশি টানিয়ে পথ বন্ধ করে দেয়। চিরতরে পঙ্গু করার হুমকি দেয়। তাদের চলাফেরার গতিবিধি লক্ষ্য করে খুব সাবধানে চলাফেরা করতে হচ্ছে। আমাদের অটোরিক্সার ব্যাটারী চুরি করে নিয়ে যায়। চুরির ঘটনা প্রকাশ পেলে তারা জোটবদ্ধ হয়ে আমার বসতঘরের সামনে এসে দাও, লাঠি, রড দিয়া আমাকেসহ আমার স্ত্রী সন্তান, পিতা মাতা, বোনসহ সকলকে মারপিট করেন।
আমাদের ব্যবহারকৃত টিউবয়েল এর পাইপ ভাংচুর করে। আমাদের চলাচলের পথ আটকিয়ে দেয়। আমাদের বাড়ীতে প্রায় ২০-২৫ টি পরিবার বসবাস করেন। এক এক পরিবারের উপরে বিভিন্ন অজুহাতে ঘরবাড়ী উচ্ছেদ জমি দখল সহ অহেতুক ঝগড়া- ঝাটি লেগেই রাখেন। যার নেতৃত্ব দিয়ে থাকেন ওলামা দলের সভাপতি মাওলানা মোঃ শাহজালাল রুমী।
আমাদের মানসম্মান হানি করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রাসেল রুহান, আল মামুন, মাসুদ রানা, সাইফুল ইসলাম রেদওয়ান নামে কতিপয় ব্যক্তি অপপ্রচার চালায়। প্রচারকৃত যে সকল বক্তব্য ভাইরাল ও তাহা সম্পূর্ণ বানোয়াট, কাল্পনিক ও তারা নিজেরাই কমেন্ট করে বিভিন্ন মানহানিকর বিব্রত করে। সামাজিক যোগযোগের মাধ্যমে যে সকল মিথ্যা বক্তব্য প্রচার করা হইয়াছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট ওদের মনগড়া। মানহানির অপচেষ্টাকারীদের বিরুদ্ধে আইসিটি ও তথ্য প্রযুক্তি আইনে মামলা দায়ের করতে বাধ্য হবো।
ভুক্তভোগী মহসিন বলেন, আমার মেয়ে ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষার্থী, বরগুনা পুলিশ লাইন হাই স্কুলের একজন শিক্ষার্থী। তাকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে বিভিন্ন অসামাজিক কথাবার্তা ও হুমকি ধামকি দেয়। আতংকে সে স্কুলে যেতে চায় না।
তার সুষ্ঠু তদন্তসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইনী সহায়তা কামনা করেন। ভুক্তভোগীদের পক্ষে আরো বক্তব্য রাখেন আঃ রহিম, হাফেজ হারুন, মোঃ রুহুল আমিন, মোঃ মিজান, মোঃ ইসমাইল, মোসাম্মৎ রেহানা বেগম, কোহিনুর বেগম, রিজিয়া আক্তার, মাকসুদা বেগম, আব্দুল লতিফ, সেতারা বেগম প্রমুখ।