1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
শনিবার, ০৬ জুলাই ২০২৪, ০৫:৪৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নওগাঁয় দীর্ঘ ২৫ দিনেও নেই কোন অগ্রগতি গৃহবধূ আত্নহত্যার প্ররোচনা মামলায় জামালপুরে যমুনা-ব্রহ্মপুএ নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে ৭৭ সেন্টিমিটার বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতে অভিযোগে নগদ একাউন্ট আলহেরা এজেন্সি বাতিল তিস্তা ব্যারেজের বাঁধে ধস ভোলার দৌলতখানে এইচএসসি পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় শিক্ষার্থীর আ’ত্মহ’ত্যা নিয়ামতপুরে রাতের আধারে কৃষক কে তুলে নিয়ে গেল দূর্বৃত্তরা সবুজ সংঘের আয়োজনে হাফেজ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রাদন প্লাস্টিকের নৌকা তৈরি করে পুরো এলাকায় সাড়া ফেলেছেন সিলেটের এক যুবক শ্রীমঙ্গলে কৃষি উপকরণ বিতরণ করলেন কৃষিমন্ত্রী নওগাঁয় গ্রাহকের ১২ কোটি টাকা নিয়ে সূর্যমুখী সমবায় সমিতি উধাও

বসবাসের অযোগ্য তবুও নিরুপায় হয়ে থাকছি এই ঘরে

আনিসুল হক সুমন 
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৩ মার্চ, ২০২৪
  • ৬৩ বার পড়া হয়েছে

ঘরের টিনের চাল গুলো মরিচা ধরে গেছে, সামান্য বৃষ্টিতেই ঘরের চাল ফুটো হয়ে ঝরে প্রবল বারিধারা। ঘরের চারপাশের বেড়া ও দরজা-জানালাগুলো ভাঙাচোরা। বৃষ্টির পানি ঠেকাতে ঘরের চালে দেয়া হয়েছে পলিথিন ও কম্বলের ছাউনি। একই অবস্থা শৌচাগারের। গেলো শীতে খুবই কষ্টে ছিলেন উপকারভোগীরা। জরাজীর্ণ ও বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে নেত্রকোনার দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া ও মুজিবনগর এলাকার দুইটি আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরগুলো।

প্রায় এক যুগ ধরে মেরামত না করায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর গুলোর এই করুণ দশা। ফলে বাসিন্দাদের অবর্ণনীয় কষ্টে কাটছে দিন। বাসিন্দাদের দাবি, এবারের বর্ষার আগেই ঘরগুলো মেরামত করে দিলে তারা নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবেন।

অফিস সুত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর পৌর শহরের দক্ষিণপাড়া এলাকায় খাসজমির ওপর ২০০৮ সালে ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র ৪৫০ পরিবারের জন্য নির্মিত হয় “সুসং আশ্রয়ণ প্রকল্প”। পরবর্তীতে ২০১১ সালে আরো ২০০ পরিবারের জন্য “দক্ষিণপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প” নির্মিত হয়। সে ঘর গুলোতে বসবাস শুরু করে ছিন্নমুল পরিবারগুলো। এরপরে গত এক যুগের মাঝে ঘরগুলো কোনো প্রকার মেরামত না করার ফলে দিনে দিনে নষ্ট হচ্ছে ওই ঘরগুলো। বর্তমানে সুসং আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায় সবগুলো ঘরই বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। সব সময় আতঙ্কে থাকছেন ছিন্নমুল মানুষ গুলো।

সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, সারি সারি টিনের ঘর। প্রতিটি পরিবারের জন্য রয়েছে পৃথক কক্ষ। তবে মরিচা পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে ঘরের টিনের বেড়া ও চাল। কিছু ঘরে চাল একদমই নেই। কঙ্কালের মতো দাঁড়িয়ে আছে কাঠামো। এসব ঘরে কোনো মানুষও নেই। বাকি জরাজীর্ণ ঘরে বাস করছে পরিবারগুলো। প্রকল্পের সামনে পৌঁছাতেই ছুটে আসেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা জানান, বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতে ঘরের ভেতরে পানি পড়ে। তাই চালের উপরে পলিথিন বা কম্বল দিয়ে কোন রকমে বসবাস করছেন তারা।

উপকারভোগীরা আরও বলেন, আবাসনের প্রায় সবগুলো পানির টিউবওয়েল বিকল হয়ে পড়েছে। নিজেদের উদ্যোগে বেশ কিছু টিউবওয়েল বসালেও তা পর্যাপ্ত নয়। পরিবারগুলোর জন্য একটি নির্দিষ্ট স্থানে শৌচাগার ব্যবস্থা থাকলেও তা ব্যবহারের অনুপযোগী। তাই প্রতিটি পরিবারকে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে।

আশ্রয়ণ প্রকল্পে বসবাসকারী আলামিন মিয়া, হারেজ মিয়া, আব্দুল জলিল, রহিমা খাতুন ও আমিনুল ইসলাম বলেন, তাদের ঘরগুলোর অবস্থা খুবই খারাপ। চালে জং ধরে টিন নষ্ট হয়ে গেছে। বৃষ্টি হলেই সেগুলো দিয়ে পানি পড়ে। দরজা-জানালা গুলো ভেঙে গেছে। নির্মাণের পর ঘরগুলো কোন মেরামত করা হয়নি। এ কারণে ঘরগুলো বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আমরা গরিব মানুষ বলে ব্যবহারের অনুপযোগী জেনেও অবহেলায় পড়ে আছি এই ঘর গুলোতে।

এনিয়ে মুজিবনগর আশ্রয়ন প্রকল্পের পরিচালনায় থাকা মোঃ মানিক মিয়া জানান, এই আবাসনের ঘর ও শৌচাগার গুলোর বেহাল দশার কারনে প্রতিদিনই বসবাসকারীদের মাঝে ঝামেলা লেগেই থাকে যার জন্য সামাজিক পরিবেশের নানান সমস্যা সামলাতে হয় আমাদের।

এ নিয়ে সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিল ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ মতিউর রহমান বলেন, মাননীয় এমপি মোস্তাক আহমেদ রুহী মহোদয়ের হাত ধরেই তৈরি হয়েছিল ছিন্নমূল মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই। তিনি এমপি থাকাকালীন সময়ে এইগুলোর প্রতি যত্নও ছিল। কিন্তু ২০১৫ সালের পরে এইগুলোর কোন উন্নয়ন হয়নি। বর্তমানে ঘরগুলোর খুবই বেহাল দশা। এনিয়ে এমপি মহোদয়ের কাছে জানাবো, মানুষের কষ্ট লাঘবে আশা করছি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।

এ ব্যাপারে দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এম. রকিবুল হাসান জানান, আমি এ উপজেলায় নতুন এসেছি। তবে বিষয়টি সত্যি দুঃখজনক। এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে যতটুকু সম্ভব প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com