নাটারের বাগাতিপাড়ায় গলায় উড়না পেঁচিয়ে ফাঁস নিয়ে ২০ বছর বয়সী শারমিন বেগম নামে অন্তঃসত্ত্বা এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকালে উপজেলার দয়ারামপুর ইউনিয়নের বাটিকামারী মধ্যপাড়া গ্রামে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। শারমীন বেগম ওই গ্রামের ভ্যান চালক জিয়াউর রহমান জিয়ার স্ত্রী।
থানা পুলিশ ও পরিবারের অন্য সদস্যরা জানান, শারমিন সকাল থেকে বেশ ভালোভাবেই সংসারের সকল কাজ করেছে। বিকেল ৪টার দিকে হঠাৎ করে সে তার নিজের শয়ন কক্ষে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় বাড়ির অন্যরা মনে করেন সে আসরের নামাজ আদায় করার জন্য ঘরে গিয়েছে। বেশকিছু সময় পরে তাকে দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য ডাকাডাকি করে বাড়ির লোকজন। কিন্তু তার কোন সারা শব্দ না পেয়ে বাড়ির বাহিরে গিয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে তাকে গলায় উড়না পেঁচানো অবস্থায় ঘরের তীরের সাথে ঝুলতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করে। পরেস্থানীয়রা সেই চিৎকার শুনে ছুটে এসে ওই ঘরের দরজা ধাক্কা দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে তাকে ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নিচে নামায়। পরে স্থানীয় পল্লি চিকিৎসককে খবর দিলে সেই চিকিৎসক শারমিন কে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে বাগাতিপাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদ্রহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, শারমিন এর আগে প্রায় ৬ মাস আগেও গলায় ফাঁস নিয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিল। তারপর থেকে সে ভালোই ছিলো। কিন্তু হঠাৎ কেন সে আত্মহত্যা করলো সে বিষয়ে কিছুই বলতে পারছেনা তারা।
বাগাতিপাড়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নান্নু খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় খবর পেয়ে তিনিসহ অন্যান্য পুলিশ অফিসার নিয়ে ঘটনাস্থলে যান। সেখানে লাশের প্রাথমিক সুরাৎহাল প্রতিবেদন তৈরি করে এদিন রাতে মরদেহটি থানায় নিয়ে আসা হয়। মরদেহটির ময়না তদন্তের জন্য বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে নাটোর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে। এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা রুজুর প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ শারমিনের আত্মহত্যার সঠিক কারণ উদ্ঘাটনের জন্য পুলিশ কাজ শুরু করেছে বলেও জানান ওসি নান্নু খান।