বরিশালের বানারীপাড়ায় রাজনৈতিক তর্ক-বিতর্কে কৃষকদল নেতার নিহত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নিহতের বাড়ি উপজেলার সৈয়দকাঠি ইউনিয়নের করফাকর গ্রামে। নিহতের নাম আবদুল লতিফ (৫৫)। তিনি সৈয়দকাঠি ইউনিয়ন কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে করফাকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। বানারীপাড়া থানার ওসি (তদন্ত) শতদল মজুমদার নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আসরের নামাজ পড়ে কৃষক দল নেতা আবদুল লতিফ করফাকর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে আসেন। সেখানে স্থানীয় দেলোয়ার হোসেন ঘরামীর সঙ্গে রাজনৈতিক নানা বিষয় নিয়ে তার তর্ক-বিতর্ক হয়। এর একপর্যায়ে দেলোয়ার হোসেন ঘরামী ও তার জামাতা তুহিনসহ ৭/৮ জনের মারধরে আহত হন আবদুল লতিফ। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার সন্ধ্যায় বানারীপাড়া উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। তারা এ হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আওয়ামী লীগ ও জামায়াত সমর্থক আখ্যা দিয়ে তাদের গ্রেপ্তারের দাবী জানান। এদিকে স্থানীয়রা দাবি করেছেন, হামলাকারী দেলোয়ার হোসেন ঘরামী বিএনপির কর্মী। তবে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ মৃধা তা অস্বীকার করে বলেন, দেলোয়ার হোসেন ঘরামী আগে আওয়ামী লীগের কর্মী ছিলেন, বর্তমানে জামায়াতে যোগ দিয়েছেন। এদিকে, শনিবার রাতে ফেসবুক লাইভে এসে উপজেলার সৈয়দকাঠী ইউনিয়ন জামায়াতের আমির মাওলানা মো. ফেরদৌস দাবি করেন, দেলোয়ার হোসেন ঘরামী জামায়াতের কেউ নন, বরং নিহত আব্দুল লতিফ জামায়াতের বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নিতেন। তার হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও জড়িতদের বিচার দাবি করেছেন জামায়াতের এই নেতা। তিনি এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা না করারও আহ্বান জানিয়েছেন। ওসি (তদন্ত) শতদল মজুমদার মিডিয়াকে জানান, রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে তর্ক-বিতর্কে এ ঘটনা ঘটে। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় নিহতের পরিবার মামলা করবেন বলেও জানান তিনি।