বরিশালের বানারীপাড়ার জম্বুদ্বীপ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে ২৮ নভেম্বর দুপুর দুপুর টায় জুলাইয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র- জনতার গণঅভ্যুত্থানে নিহত রাকিব বেপারি(২০) এর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য উত্তোলন করা হয়। বানারীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব বায়েজিদুর রহমানের নেতৃত্বে ঢাকা থেকে আগত তদন্ত টিম ও বানারীপাড়া থানার এস আই মোঃ নুরুল ইসলাম এবং শফিকুল ইসলামের উপস্থিথিতিতে লাশটি উত্তোলন করা হয়। সদ্যবিবাহিত গার্মেন্টস শ্রমিক শহীদ রাকিব বেপারী ২১ জুলাই ঢাকার চিটাগাং রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়।শহীদ রাকিব বেপারীর লাশ ওই সময় আওয়ামী লীগ সরকারের চাপের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ময়নাতদন্তে অস্বীকৃতি জানালে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তার লাশ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়।রাকিব বেপারির লাশ উত্তোলনের ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব বায়েজিদুর রহমান জানান, রাকিব বেপারী জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়ার জন্যই তার লাশটি উত্তোলন করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্ত শেষে তার লাশ পুনরায় দাফন করা হবে। নিহত রাকিব বেপারী পারিবারিক অভাব অনটনের কারণে নবম শ্রেণী পাশ করার পরেই নারায়ণগঞ্জের বিসিক এলাকায় একটি গার্মেন্টসে চাকরি নিয়েছিল। রাকিব বেপারী বানারীপাড়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের জম্বুদীপ গ্রামের মোশাররফ বেপারী ও রাশিদা বেগমের পুত্র। তিনি গত এপ্রিলে পারিবারিকভাবে বিবাহ করেছিলেন।