অদ্য ০৬ মে ২০২৫ খ্রিষ্টাব্দ জেলা প্রশাসক কার্যালয় সম্মেলন কক্ষে শামীম আরা রিনি, জেলা প্রশাসক, বান্দরবান পার্বত্য জেলা মহোদয়ের সভাপতিত্বে প্রেস কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রেস কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান পার্বত্য জেলার পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ কাওছার পিপিএম (বার) মহোদয়।
উক্ত প্রেস কনফারেন্সে পুলিশ সুপার মহোদয় জানান- গত ০৫/০৫/২০২৫ খ্রি: তারিখ বিকাল অনুমান ১৫:৪০ ঘটিকার সময় থানচি থানার পুলিশ থানচি থানাধীন ২ নং তিন্দু ইউনিয়নের ০৮ নং ওয়ার্ড মংখ্যয় পাড়ার পার্শ্ববর্তী গহিন পাহাড়ে একজন মহিলার মৃতদেহ পাওয়ার সংবাদ পাওয়া যায়। মৃতদেহটি জনৈক চিংম্রা খিয়াং, স্বামী: সুমন খেয়াং এর মর্মে ভিক্টিমের আত্মীয়-স্বজন সনাক্ত করে। স্থানীয় লোকজন থানচি থানার পুলিশকে অবহিত করলে থানার অফিসার ইনচার্জ এর নেতৃত্বে মহিলা পুলিশসহ থানার একটি টিম ঘটনাস্থলে যান। এসময় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, হেডম্যান, কার্বারি উপস্থিত ছিল। ঘটনাস্থলটি থানা থেকে প্রায় ৩৮ কিলোমিটার দূরে এবং দুর্গম পাহাড়ি স্থানে।
স্থানীয় লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে জানা যায় নিহত চিংম্রা খিয়াং ০৫/০৫/২০২৫ খ্রি: তারিখ সকালে নিজ বাড়ি হতে তার জুমক্ষেতে ধান রোপণ করতে যায়। দুপুরে বাড়িতে ফেরার কথা থাকলেও ভিকটিম যথাসময়ে না ফেরায় তার স্বামীসহ পাড়ার লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করতে থাকে। এক পর্যায়ে বিকাল অনুমান ১৫:৩০ ঘটিকার সময় ঘটনাস্থল থোয়াইউখই খিয়াং এর জুম ক্ষেতের অনুমান ৫০ গজ নিচে পাথরের নালার উপর মাথা ও মুখমণ্ডলের বিভিন্ন স্থানে জখম ও ক্ষত অবস্থায় ভিকটিমের মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায়।
নারী পুলিশ কনস্টেবল এবং ভিকটিমের শাশুড়ির উপস্থিতিতে থানচি থানার পুলিশ ভিকটিমের মৃতদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। সুরতহাল প্রস্তুতকালে ভিকটিমের মাথা ও মুখমণ্ডলে ক্ষত ও জখমের চিহ্ন পাওয়া যায়।
মৃতদেহের পোস্ট মর্টেমের জন্য পুলিশ স্কটের মাধ্যমে মৃতদেহ সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ভিকটিমের মৃত্যুর ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য পুলিশ সর্বোচ্চ গুরুত্ব সহকারে কাজ করছে। ভিকটিমের মৃত্যুর ঘটনায় তার স্বামী বাদী হয়ে মামলা রুজু করেছে। পুলিশ সুপার বান্দরবানের নির্দেশে অফিসার ইনচার্জ, থানচি মামলাটি তদন্ত করছে এবং পুলিশ সুপার নিজেই মামলাটি তদারকি করছেন।
পুলিশ সুপার মহোদয় আরো বলেন ভিকটিমের মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত গুজবে বিভ্রান্ত না হয়ে ভিকটিমের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটনে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পুলিশকে সহযোগিতা করার জন্য সবাইকে অনুরোধ জানানো যাচ্ছে।
এ সময় বান্দরবান পার্বত্য জেলার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দসহ জেলা প্রশাসকের বিভিন্ন ম্যাজিস্ট্রেটগণ।