তীব্র তাপদাহে নাকাল গোটা বাংলাদেশ। গা ঝলসানো এই উত্তাপের আচঁ লেগেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ১৭৫ একরে। এরই মাঝে পুরোদমে চলছে পাঠদান কার্যক্রম ও পরিক্ষা সমূহ। এই তাপদাহ থেকে কিছুটা পরিত্রাণ পেতে সষ্টার প্রতি নতজানু সৃষ্টিকুল। এরই অংশ হিসেবে বৃষ্টির কামনায় আয়োজন করা হয় ইস্তিসকার নামাজ।
সোমবার(২৯ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় কেন্দ্রীয় ফুটবল খেলার মাঠে এই বিশেষ নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। ধর্মতত্ত্ব অনুষদের উদ্যোগে বিশেষ নামাজ আদায় করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, ভ্যানচালক ও স্থানীয় এলাকাবাসীরা। কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম খতিব মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান নামাজ পরিচালনা করেন।
নামাজে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা জানান, প্রচণ্ড দাবদাহ ও অনাবৃষ্টির কারণে ক্যাম্পাসে টিকে থাকা মুশকিল হয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকে সন্ধ্যা অব্দি এই তীব্র রোদে রাত্রেও চারপাশ গরম হয়ে থাকে। এই নামায আদায়ের উছিলায় যেনো মহান আল্লাহ তায়ালা আমাদের ভুল ত্রুটি ক্ষমা করে বৃষ্টি বর্ষণ করে তা প্রার্থনা করছি।কেন্দ্রীয় মসজিদের ইমাম খতিব মোঃ আশরাফ উদ্দিন বলেন, এই নামাযের মূল উদ্দেশ্য তওবা ইস্তেগফার করা। আল্লাহ তায়ালা বিভিন্ন উদ্দেশ্যে বিভিন্ন নামাযের হুকুম করেছেন। তাই দেশ বা সমাজ যখন কোনো খরতাপে পড়ে যায় বা এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগে পতিত হয় তখন আমরা সালাতুল ইস্তিকার আদায় করি।ভ্যানচালক বলেন, আমাদের মাঠঘাট শুকিয়ে যাচ্ছে। নলকূপে পানি পাওয়া কষ্টকর হয়ে উঠেছে এই তাপে। আমাদের এই তাপদাহে ভ্যান চালাতেও অনেক কষ্ট হয়। তাই যখন শুনলাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বৃষ্টির জন্য নামায আদায় করবে তখন আমিও সবার সাথে নামাযে অংশ নিলাম। শুকিয়ে যাচ্ছে মাঠঘাট কৃষিজমি। তীব্র খরায় ফসল উৎপাদন নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা।এর আগে গত ১৯ এপ্রিল তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে প্রথমবার তিন দিনের হিট অ্যালার্ট জারি করা হয়। এরপর কয়েক ধাপে তা বাড়ানো হয়। এরপর গতকাল ২৮ এপ্রিল আবারও আবহাওয়া অধিদপ্তর আগামী ৭২ ঘন্টার জন্য নতুন করে হিট এলার্ট জারি করেন।