বরগুনার বেতাগী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক শাহাজামাল মিন্টুর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত চাঁদাবাজির মামলাকে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা আখ্যা দিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ মে) সন্ধ্যা ৭টায় বেতাগী বাসস্ট্যান্ড এলাকার মেঘনা কাউন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শাহাজামাল মিন্টু বলেন, একটি পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে তাকে এবং দলের অন্যান্য নেতৃবৃন্দকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মিন্টু অভিযোগ করেন, বেতাগী পৌর অটোস্ট্যান্ড ইজারাদার খোকন হাওলাদার ষড়যন্ত্রমূলকভাবে বরগুনা বিজ্ঞ দায়রা জজ আদালতে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা করেন। তিনি জানান, গত ২৩ এপ্রিল বেতাগী থানা পুলিশ কোনো প্রকার সঠিক তদন্ত ছাড়াই তাকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা কারাগারে প্রেরণ করে। মিন্টুর ভাষ্যমতে, তিনি একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী এবং তার পরিবার অর্থ-সম্পদের মালিক। ফলে দুই লক্ষ টাকার জন্য তিনি কাউকে চাপ দেন, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
শাহাজামাল মিন্টু বলেন, “আমি দীর্ঘ সতেরো বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। অতীতেও বিভিন্ন সময়ে সরকারদলীয় মদদপুষ্ট গোষ্ঠী আমাকে ও আমার সহকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবি মামলা দিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে যখন রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরে আসছে, তখন আবারও নতুন ষড়যন্ত্রে ফাঁসানো হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, “আমি দলের প্রয়োজনে কখনো কাউকে চাঁদা বা অনুদানের জন্য চাপ দিইনি। অথচ আমাকে ২৩ দিন কারাগারে আটকে রেখে সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে।”
তিনি দাবি করেন, মামলার বাদী খোকনের দোকানে এমনকি ৫০ হাজার টাকার মালামালও নেই, সেখানে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করার অভিযোগ হাস্যকর। মিন্টু দাবি করেন, “এই মামলা শুধু আমাকে নয়, আমাদের রাজনৈতিক শক্তিকে দুর্বল করার অপচেষ্টা। আমি সঠিক তদন্তের মাধ্যমে এ মামলা প্রত্যাহার এবং দায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।”
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, মামলার প্রধান আসামি হিসেবে নাম রয়েছে বেতাগী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক মোঃ রেজাউল করিম নেছার খানের। এছাড়া বেতাগী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মোঃ মিন্টু এবং বেতাগী পৌর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মোঃ শাহাজামাল মিন্টুকেও আসামি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, মামলার বাদী খোকন হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, “আমি বেতাগী পৌর অটোস্ট্যান্ডের ইজারাদার। নেছার, মিন্টুসহ আরও কিছু লোক এসে আমার কাছে দুই লক্ষ টাকা দাবি করে। আমি রাজি না হলে তারা আমার প্রতিষ্ঠানের নামে ভুয়া রিসিভ বানিয়ে বিভিন্ন স্থানে টোল আদায় করে।”