কোন সময় ভেঙ্গে যেতে পারে পাউবোর বেরীবাঁধ। আতংকে দিন পার করছে কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের ৬ গ্রামের মানুষ। আন্ধারমানিক নদী তীরবর্তী ওই ইউনিয়নের গৈইয়াতলা গ্রামের বেরীবাঁধ এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা ও নীলগঞ্জ ইউনিয়ন প্রশাসক মো.নাহিদ হাসান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নীলগঞ্জ ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির, ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য মাহফুজা বেগম, সদস্য গাজী মহিবুল্লাহ, কলাপাড়া প্রেস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য বিশ্বাস শিহাব পারভেজ মিঠু প্রমুখ।
জানা যায়, পানিউন্নয়ন বোর্ড চলতি অর্থ বছরে এ বেরীবাধটি মেরামত করেন। সম্প্রতি ঝড়ে নি¤œচাপেড় প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়াড়ের ফলে বাধটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়। জরুরি ভাবে সংস্কার করা না হলে ভেঙ্গে গিয়ে তলিয়ে যেতে পারে পুরো এলঅকা। ক্ষতির সম্মুখিন হবে সবজি পল্লি, মাছের খামার, গবাদি পশু, কৃষিজমি সহ ঘর বাড়ি। উত্তর গৈয়াতলা, পূর্ব গৈয়াতলা, পূর্ব সোনাতলা, মোস্তফাপুর, মোহাম্মদ পুর ও তাহেরপুরের বাসিন্দারা অজানা আতংকে রয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা কৃষক আনোয়ার মুন্সি বলেন, বেড়িবাধটি ভেঙ্গে গেলে কৃষি কাজে ব্যাপক ক্ষতি হবে, তলিয়ে যাবে পুরো এলাকা। সরকারের কাছে দ্রুত বাধটি সংস্কারের দাবি জানান।
নীলগঞ্জ ইউনিয়ন প্যানেল চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির জানান, এই ঝড়ে বেড়িবাধের অনেক জায়গায় ক্ষতি হয়ে বেড়িবাধটি ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। বাধটি ভেঙ্গে গেলে পানিবন্দি হয়ে পরবে হাজার হাজার মানুষ। কৃষি নির্ভর এই এলাকার নষ্ট হয়ে যাবে কৃষি পন্য। তিনি অতি দ্রæত বাধটি মেরামতের দাবি করেন।
কৃষি সম্প্রসারন কর্মকর্তা ও নীলগঞ্জ ইউনিয়ন প্রশাসক মো.নাহিদ হাসান বলেন, সম্প্রতি ঝড় এবং অস্বাভাবিক জোয়ারের প্রভাবে গৈয়াতলা বেড়িবাধটি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব যাতে মেরামতের কাজ দ্রুত করা হয়।
উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো.শাহ আলম জানান, গত বছর ওই বেড়িবাধের মেরামত করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।