1. admin@desh-bulletin.com : নিজস্ব প্রতিবেদক : দৈনিক প্রতিদিনের অপরাধ
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৩:৩২ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি লঘুচাপ, দেশের সমুদ্র বন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কতা জারি বর্তমান সময় শিশুর জ্বর চিকুনগুনিয়া নাকি ডেঙ্গু কীভাবে বুঝবেন আশুরা উপলক্ষে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি রফতানি বন্ধ ডিমলায় অবৈধ বালু উত্তোলনে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা নওগাঁয় পৃথক নির্বাচন ব্যবস্থার ও সারাদেশে হিন্দু নির্যাতনের প্রতিবাদে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহাজোট এর মানববন্ধন সোনাগাজী সরকারী ডিগ্রী কলেজে বৃক্ষরোপন কর্মসুচি পালন লালপুরে মাদকে সয়লাব চলছে রমরমা ব্যবসা জামালপুর মাদারগঞ্জে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ঐতিহ্যবাহী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা সাঁতারে ঢাবির তারকা রামপালের সন্তান শেখ জামিল, পাঁচ ইভেন্টেই প্রথম কী এই পিআর নির্বাচন পদ্ধতি

বৈরী আবহাওয়ায় বিপাকে উপকূলের জেলেরা নিষেধাজ্ঞা শেষে সমুদ্র উত্তাল, বেড়েছে ঋণের বোঝা

মো, মাকছুদুর রহমান পাটোয়ারী , দৌলতখান (ভোলা)
  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৬ জুলাই, ২০২৫
  • ৫৮ বার পড়া হয়েছে
একদিকে বৈরী আবহাওয়া, অন্যদিকে একের পর এক সরকারি নিষেধাজ্ঞায় দিশেহারা ভোলার দৌলতখানের  উপকূলের হাজারো জেলে। গত ১৫ এপ্রিল থেকে ১১ জুন পর্যন্ত ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে মাছ ধরার অনুমতি থাকলেও বৈরী আবহাওয়ার কারণে এখনো জেলেরা সমুদ্রে মাছ শিকারে নামতে পারেননি। আবার যেসব জেলে সমুদ্রে গেছেন তাদের অনেকেই ফিরছেন খালি হাতে। যার কারণে জেলেদের মনে জমেছে হতাশা, অন্যদিকে বেড়েছে ঋণের বোঝা।
স্থানীয় সমুদ্রগামী জেলেরা জানান, নিষেধাজ্ঞা জারির আগেও সাগরে তেমন মাছ পাওয়া যায়নি। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে বুক বেঁধেছিলেন এবার রুপালি ইলিশে ভরবে তাদের জাল। কিন্তু সাগরের ঝোড়ো হাওয়া এবং উঁচু উঁচু ঢেউয়ে তাদের সকল আশায় গুড়েবালি। কিছু জেলে ঝুঁকি নিয়ে সাগরে মাছ ধরার জন্য গেলেও এখনো শত শত জেলে ঝুঁকি নিচ্ছেন না। গত বছরও আশানুরূপ ইলিশ পাওয়া যায়নি জালে। এ বছর ভাগ্যে কী রয়েছে জানি না।
জেলে পল্লিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নিষেধাজ্ঞা চলাকালে সরকারি সহায়তা দেওয়া হলেও তা পর্যাপ্ত ছিল না বলে জানিয়েছেন জেলেরা। দীর্ঘ দুই মাস পর নিষেধাজ্ঞা শেষে জেলেদের কিছুটা উৎসাহ-উদ্দীপনা থাকলেও বৈরী আবহাওয়া এবং ঋণের বোঝা নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছে।
দৌলতখান উপজেলার সৈয়দপুর ইউনিয়নের জেলে শাহাবুদ্দীন বলেন, সমুদ্রে মাছ ধরতে যাওয়া একটি ট্রলারে ৫ থেকে ৭ দিনের জ্বালানি এবং রসদ নিয়ে রওনা দিতে হয়। বৈরী আবহাওয়ার কারণে সেটি শূন্য অবস্থায় সাগর থেকে ফিরলে পথে বসা ছাড়া কোনো উপায় থাকে না। অবরোধের পরে এখন পর্যন্ত যারাই সমুদ্রে মাছ ধরতে গেছে সবাই খালি হাতে ফিরে আসছে। তাই আমরা হতাশার মধ্যে এখন দিন কাটাচ্ছি।
দৌলতখান উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মনজ কুমার শাহা বলেন, ‘জলাবায়ু পরিবর্তনের কারণে উপকূলের নদী ও সমুদ্র মোহনায় ডুবোচরের সৃষ্টিতে ইলিশের বিচরণ বাধাগ্রস্ত-সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ইলিশের সংখ্যাও কমে যাচ্ছে। নিষেধাজ্ঞার পর সাগরে মাছ থাকার সম্ভাবনা থাকলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জেলেরা ঠিকমতো জাল ফেলতে পারছেন না। ফলে কাঙ্ক্ষিত মাছ ধরা পড়ছে না। আবহাওয়া স্বাভাবিক হলে জেলেদের জালে মাছ ধরা পরবে বলে আমরা আশা করছি। জেলেরা সমুদ্রে আশানুরূপ মাছ পেলে অর্থনৈতিক দুর্দশা কাটিয়ে উঠতে পারবেন।’
এ বিভাগের আরো সংবাদ
© দেশ বুলেটিন 2023 All rights reserved
Theme Customized BY ITPolly.Com