গত৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে অপি মিয়া সাভার হাসপাতালে দীর্ঘ ৩ মাস ১০দিন চিকিৎসা শেষে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন আজ। অপি মিয়া মধ্যনগর উপজেলা সদরে আসার খবর শুনে মধ্যনগর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের ছাত্ররা তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেয়। আহত অপি মিয়া মধ্যনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি মরহুম সবুজ মিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র।আজ ২৬শে নভেম্বর দুপুর ১২ ঘটিকায় শহীদ আবু সাইদ চত্বরে তাকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে আনন্দ মিছিল করে বৈষম্য বিরোধী ছাত্ররা। মিছিলটি উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে মধ্যনগর থানার সামনে শেষ হয়।পরে মধ্যনগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্রদের কে নিয়ে মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সজিব রহমানের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে। এসময় ওসি সজিব রহমান আন্দোলন গুলিবিদ্ধ অপির শারীরিক খোঁজ খবর নেন ও আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ার জন্য সকলকেই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার জন্য আহ্বান করেন। তিনি আরও আমি এই থানায় যোগদান করার পর শুনেছি জলুষা গ্ৰামের আয়াতুল্লাহ নামের একজন শহীদ হয়েছেন।শুনার পর আমি তার পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি তার পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছে। শেষে সকলকেই ক্লাস ফেরার জন্য বলছি।এসময় অপি মিয়া বলেন আমি নেত্রকোনা সরকারি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়, ডিগ্রি ১ম বর্ষের ছাত্র।
আমি ৫ই আগষ্ট আনুমানিক সকাল 10 ঘটিকার সময় আশুলিয়া জামগড়া হইতে মিছিলে অংশগ্রহণ করি।মিছিলটি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যে বের হয়।মিছিলটি আশুলিয়া বাইপেল পৌঁছালে পুলিশের ভেরিক্যাডে পড়েএবং মিছিলটি কিছুক্ষণ ওইখানে অবস্থান করে ওই সময় পুলিশ একের পর এক গুলি ছুড়ে পুলিশের ছুড়া গুলিতে আমি আহত হই।গুলিটি আমার নাভীর সাইডে লেগে খাদ্যনালী ছিদ্র হয়ে কোমড় বেদ করে বাহির হয়ে যায়। আমার সহযোদ্ধারা তাৎক্ষণিকভাবে আমাকে নারী শিশু মেডিকেলে নিয়ে আসে,।সেখানে আমাকে বাঁচাতে পারবেনা বলে জানায় চিকিৎসকরা। সেখান থেকে আমাকে আমার বড় ভাই ও সহযোদ্ধারা সাভারে এনাম মেডিকেলে নিয়ে যায়,।সেখানে আমার খাদ্যনালীর পর পর দুইটি অপারেশন হয়। প্রথম অপারেশন ৬ আগস্টপরে আবার দ্বীতীয় অপারেশন গত ১০শে অক্টোবর হয়। আজ আমি চিকিৎসা শেষে বাড়িতে এসেছি।এসময় উপস্থিত ছিল মধ্যনগর উপজেলার বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অসংখ্য ছাত্র।