বগুড়া সদরের বামনপাড়া গ্রামের এক গৃহ বধুর ভাই যুবলীগ নেতা চাকুরী ও বিদেশ পাঠানোর নামে বোনের চেক দিয়ে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে লাপাত্তা, থানায় অভিযোগ, লিগ্যাল নোটিশ প্রদান ২০/২৫ বছরের সংসার ভেঙ্গে স্বামী তালাক দিয়ে ২ সন্তানকে রেখে গা ঢাকা,ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী।
বগুড়া সদর থানা ও ৭/৩/২৪ ইং তারিখের এ্যাড তোজাম্মেল হক স্বাক্ষরিত লিগ্যাল নোটিশ সূত্র জানা গেছে বগুড়া সদরের বামন পাড়া গ্রামের জনৈক জহুরুল ইসলামের সাথে ২০/২৫ বছর পূর্বে সোনাতলা উপজেলার কোয়ারিকান্দি গ্রামের মোন্তেজারের কন্যা সবিতা আক্তারের বিবাহ হয়। বিবাহের পর তাদের ঘরে পর পর ২জন কন্যা সন্তান জন্ম নেয়। সবিতার ভাই যুবলীগ নেতা সুলতান আহম্মেদ তার বোনের এলাকায় এসে লোকজনদেরকে সরকারী চাকুরী ও বিদেশ যাওয়ার নামে কয়েক লক্ষ টাকা নিয়ে তার বোনের নিজস্ব হিঃ নামের চেক প্রদান করে৷ যাদের কাছে থেকে টাকা নিয়েছে তাদের মধ্য বগুড়া সদরের বড় সরলপুর গ্রামের মৃত নূর আলী ফকিরের পুত্র বাবলু মিয়া, তার কাছে থেকে ৮লক্ষ ৫০ হাজার টাকা নিয়ে কোন চাকুরী বা বিদেশে না পাঠিয়ে টাকাও ফেরৎ দেয়নি। এব্যাপারে বাবলু বাদী হয়ে বগুড়া সদর থানায় সবিতার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করে। শুধু তাই নয়, সদরের ধলমোহিনী গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের পুত্র মুনছুর রহমান গত ৭/৩/২৪ ইং তারিখে সবিতার নামে ২লক্ষ ৫০ হাজার টাকার একটি লিগ্যাল নোটিশ প্রেরণ করে। এঘটনায় সবিতার ভাই সুচতুর সুলতান সুকৌশলে তার বোনকে বাড়ীতে ডেকে নিয়ে ২ সন্তানকে রেখে তার ভগ্নীপতিকে বোনকে দিয়ে তালাক করে। সন্তানেরা জানান ডাইনি মা তার ভাইকে সুবিধা দিতে নিজের সন্তানদেরকে ফেলে রেখে বাবাকে তালাক দিয়েছে। আমরা মা ও মামার বিচার চাই৷ এদিকে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারেরা প্রশাসের প্রতি দাবী জানান যে, আওয়ামী দোষর যুবলীগ নেতা সুলতানের কারণে তার বোনের সংসার নষ্ট হয়েছে এবং আমরা আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি, অবিলম্বে তাদেরকে গ্রেফতার করে কঠিন শাস্তি প্রদান করা হউক।