টানা বৃষ্টিতে বরগুনার আমতলী উপজেলায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। স্লুইস গেট ও জলকপাট দিয়ে পানি নিস্কাশন না হওয়ায় আউশের খেত ও আমন ধানের বীজতলা পানির নিচে তলিয়ে গেছে। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন উপজেলার প্রায় ৩০ হাজার কৃষক পরিবার।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে ৬ হাজার ৫৮৮ হেক্টর জমিতে আউশ ও ২৩ হাজার ৫০০ হেক্টরে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে আউশ ধানের ফুল আসার সময় হলেও তা পানির নিচে থাকায় ফলন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। আমনের বীজতলাও ঝুঁকিতে রয়েছে।
কৃষিবিদ মো. রাসেল বলেন, ‘‘টানা বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। দ্রুত পানি নেমে গেলে সমস্যা অনেকটা কমবে। তবে আউশের ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হলে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।’’
মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কুকুয়া, চাওড়া, গুলিশাখালী ও আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে—প্রায় সবখানেই পানি জমে আছে। মাঠে মাঠে পানি থৈ থৈ করছে।
হলদিয়া ইউনিয়নের তক্তাবুনিয়া গ্রামের কৃষক শিবলী শরীফ বলেন, ‘‘আউশ ধান বের হওয়ার সময় হলেও পানিতে তলিয়ে থাকায় তা বের হচ্ছে না। ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছি।’’
একইভাবে গুলিশাখালীর ইব্রাহিম চৌকিদার বলেন, ‘‘স্লুইস গেট দিয়ে ঠিকভাবে পানি নিস্কাশন হচ্ছে না। শুধু পানি আর পানি।’’
কৃষকদের দাবি, দ্রুত পানি সরানোর ব্যবস্থা না নিলে আমতলীর এবারের আউশ ও আমন মৌসুম ভয়াবহ ক্ষতির মুখে পড়বে।