ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার ব্যাতিক্রমী পরিকল্পনায় বদলে গেছে উপজেলা প্রশাসনের চিত্র। পাল্টে গেছে দৃশ্যপট। প্রশাসন ফিরে পেয়েছে তার প্রাণ। বিভিন্ন দফতরে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া। ফলে ইউএনও প্রশংসিত হচ্ছেন। তার নিরলস পরিশ্রম আর পরিকল্পনামাফিক কাজে ভালুকা উপজেলা আজ এক ভিন্ন আলোয় উদ্ভাসিত। পরিচ্ছন্নতা, শৃঙ্খলা ও সৌন্দর্যের ধারায় গড়ে ওঠা এই পরিবর্তনের নেতৃত্বে রয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ। তার পরিকল্পিত ও নিরলস প্রচেষ্টায় বদলে যাচ্ছে পুরো উপজেলার চিত্র।
সরাসরি পরিদর্শনে দেখা যায়, উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ, ইউএনও কার্যালয়, পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে সুপরিকল্পিত সৌন্দর্যবর্ধনের কাজে উপজেলা প্রশাসন সেজেছে নতুন রুপে। রঙিন ফুলের বাগান, দেয়ালজুড়ে চিত্রকলার ছোঁয়া, পরিচ্ছন্ন সড়ক এবং নান্দনিক আলোকসজ্জায় বদলে যাচ্ছে পরিবেশের দৃশ্যপট। এসব উদ্যোগে সাধারণ মানুষের মাঝেও জন্ম নিয়েছে এক নতুন উদ্দীপনা।
ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে ভালুকার এই নতুন রূপের ছবি ও ভিডিও। নেটিজেনরা ইউএনও’র এই সময়োপযোগী উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করছেন। নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ মন্তব্য করেছেন— প্রশাসনিক উদ্যোগের এমন মানবিক রূপ বাংলাদেশে অনুকরণীয় উদাহরণ হয়ে থাকবে।
বর্তমানে তার নেতৃত্বে এ উপজেলা পরিষদ ও প্রশাসনে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে। অনেকেই তা দেখে মুগ্ধ হয়ে চমকে উঠছেন। কারণ ভালুকা উপজেলা প্রশাসন এখন আর পূর্বের অবহেলতি চত্বর নয়। এখানে লেগেছে আধুনিকতার ছোয়া। বর্তমান ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর আচার ব্যবহারেও মুগ্ধ সাধারণ মানুষ। ফলে সর্বস্থরের মানুষের মাঝে ইউএনও প্রশংসিত হচ্ছে।
জেলার শিল্পাঞ্চল হিসাবে পরিচিত এ উপজেলাকে দেশের মানচিত্রে উন্নত প্রথম শ্রেণির উপজেলা হিসেবে গড়তে বা চিহ্নিত করতে প্রচেস্টা চালাচ্ছেন ইউএনও। আর তার এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে প্রথমে গ্রামের হতদরিদ্র ছেলে-মেয়েদের সুশিক্ষা নিশ্চিত করতে জিও এনজিওর সহায়তায় বহুমূখী শিক্ষা ব্যবস্থা হাতে নেন। শিশুদের শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষা অফিসারকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। পরে শিল্পাঞ্চল এ উপজেলাকে এগিয়ে নিতে উপজেলার বিভিন্ন শিল্প কারখানার পণ্য উৎপাদনের জন্য শ্রমিকদের উদ্বুদ্ধ করেন। এছাড়াও তিনি এঅঞ্চলে শিল্প কারখানা গুলোর উন্নয়ন ঘটাতে উপজেলার কারখানা গুলোতে গিয়ে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়নে শিল্প কারখানাগুলোর মালিক ও কর্মচারীদের দিক নির্দেশনা দেন। এতে শ্রমিক অসন্তোষ আগের তুলনায় অনেক কমেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মাদক নিয়ন্ত্রণ, বাল্যবিবাহ, শিশুশ্রম ও যৌতুকসহ নারীশিশু নির্যাতন রোধে পাড়ায় পাড়ায় ব্যানার ফেস্টুন বিলি করা হয়েছে। মসজিদ, মন্দির ও গীর্জায় এসব অপরাধের কুফল সম্পর্কে আলোচনা করতে ইমাম, পুরোহিত ও ফাদারকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে উপজেলা আইন-শৃংখলা কমিটির সভায় কঠোর নির্দেশনা দেয়া হয়।
ভালুকা উপজেলায় ইউএনও (উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর যোগদানের পর সেখানকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড এবং সেবার মান উন্নয়নে ইতিবাচক পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। বিশেষ করে, ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের নেতৃত্বে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তার নেতৃত্বে উপজেলায় দৃশ্যমান পরিবর্তনগুলোর
মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু বিষয় হলো:স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন:বিনোদন ও খেলাধুলার সুযোগ সৃষ্টি:জনগণের সাথে প্রশাসনের সম্পর্ক উন্নয়ন:বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ বাস্তবায়ন:ক্রীড়া ক্ষেত্রে উন্নয়ন। সুত্র মতে ভালুকায় ইউএনও’র নির্দেশনায় ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামগ্রিক অবস্থার উন্নতির জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে, যা সেখানকার স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নত করবে। স্থানীয়দের জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্পন্ন একটি পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণের পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা শিশুদের মানসিক বিকাশে সাহায্য করবে। ইউএনও’র বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে প্রশাসন ও জনগণের মধ্যে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে, যা স্থানীয় উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।ইউএনও’র তত্ত্বাবধানে ভালুকার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ দ্রুত বাস্তবায়িত হচ্ছে, যা স্থানীয়দের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে সহায়ক হবে। ইউএনও’র উদ্যোগে ভালুকা উপজেলা ক্রিকেট দল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে, যা স্থানীয়দের মধ্যে খেলাধুলার প্রতি আগ্রহ বাড়াতে উৎসাহিত করবে। ভালুকা উপজেলায় ইউএনও’ হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ এর যোগদানের পর থেকে সেখানকার মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়নে বিভিন্ন ইতিবাচক পরিবর্তন দৃশ্যমান হচ্ছে।
নিজস্ব উদ্যোগ সম্পর্কে ইউএনও হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বলেন,”ভালুকা আমার কর্মস্থল, আমার দায়িত্ব। আমি চাই এ উপজেলা পরিচ্ছন্ন ও মানবিক পরিবেশে পরিচালিত হোক। প্রশাসনের দরজা জনগণের জন্য সবসময় খোলা — এটা যেন শুধু কথায় না, বাস্তবেও প্রমাণ হয়। পরিচ্ছন্নতা শুধু সৌন্দর্যই নয়, এটি মনন ও দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনেরও প্রতীক। আমরা চাচ্ছি জনগণও এই কাজের অংশীদার হোক। ইতোমধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক ব্যক্তিবর্গসহ সবার দারুণ সাড়া পাচ্ছি।”
স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরাও ইউএনও’র এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তারা মনে করছেন, প্রশাসন ও সাধারণ জনগণের মধ্যে একটি বিশ্বাসের সেতুবন্ধন তৈরি হচ্ছে, যা দীর্ঘমেয়াদে ইতিবাচক পরিবর্তন বয়ে আনবে।
ভালুকার বাসিন্দারা জানান,”আগে সরকারি অফিস মানেই নিরস পরিবেশের কথা ভাবতাম। এখন পরিষদ প্রাঙ্গণে ঢুকলেই মনে হয় কোথাও বেড়াতে এসেছি। এই পরিবেশ আমাদেরও উৎসাহিত করে নিজেদের চারপাশ পরিষ্কার রাখতে।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, ভালুকায় গড়ে ওঠা এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যচর্চার আন্দোলন বাংলাদেশের অন্যান্য উপজেলাগুলোর জন্যও হতে পারে এক অনুকরণীয় মডেল। বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী, যুবসমাজ ও সাধারণ জনগণকে সম্পৃক্ত করে যে সামাজিক আন্দোলনের সূচনা করা হয়েছে, তা স্থায়ী পরিবর্তনের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে।
ভালুকার এই রূপান্তর যেন প্রমাণ করছে— প্রশাসনিক সদিচ্ছা, জনগণের অংশগ্রহণ ও সামাজিক দায়বদ্ধতা মিলে বদলে দেওয়া সম্ভব একটি গোটা এলাকার ভাগ্য।
ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাসান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আরো জানান, এঅঞ্চলের অবহেলিত নিপীড়িত নির্যাতিত মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটাতে তিনি বদ্ধপরিকর। এ ছাড়া সুবিধাবঞ্চিত মানুষের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে ও অধিকার পাইয়ে দেবার লক্ষ্যে তিনি সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন।