কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা, আওয়ামী লীগের সক্রিয় সদস্য ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মোঃ নিয়ামুল আরিফ ওরফে নিখিল চৌধুরী (৪৪) গ্রেফতার হয়েছেন। তিনি মৃত সামছুল হক চৌধুরীর ছেলে এবং উপজেলার কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি ভূরুঙ্গামারী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত।
পুলিশ জানায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা এবং পরবর্তীতে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির ঘটনায় তদন্তে তার সম্পৃক্ততার প্রমাণ মেলে। এ পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে কামাত আঙ্গারীয়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ভূরুঙ্গামারী থানা পুলিশ। পরে যথাযথ প্রহরায় তাকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়।
এছাড়া নিয়ামুল আরিফের বিরুদ্ধে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। স্থানীয়ভাবে তিনি “মাদক কারবারির সম্রাট” হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘদিন ধরে ভাই ও ভাতিজাদের রাজনৈতিক প্রভাব কাজে লাগিয়ে তিনি এলাকায় মাদকের সাম্রাজ্য গড়ে তোলেন। বিভিন্ন সময়ে মামলা হলেও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে তিনি বারবার রক্ষা পেয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
পারিবারিক রাজনৈতিক পরিচয়ও তাকে শক্তিশালী করে তুলেছে। তার ভাই নুরুন্নবী চৌধুরী খোকন ভূরুঙ্গামারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চারবারের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। ভাতিজা রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন এবং বিতর্কিত পদত্যাগের পর ২০২৫ সালে আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির সদস্য পদে ফেরেন। আরেক ভাতিজা রাকিনুল হক চৌধুরী ছোটন নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে আন্তর্জাতিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল হেলাল মাহমুদ বলেন, “এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।”