কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় জোর পুর্বক বিড়ি কারখানা জবর- দখল, মালামাল, নগদ টাকা লুট, ভাংচুর ও মারধরের ঘটনায় তিন জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫জনকে আসামী করে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একজনকে আটক করেছে। গতকাল রোববার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মোসলেমপুর গ্রামের মৃত জাহান আলীর ছেলে মোঃ মামুন (৩৭) কে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। পরে তাকে কুষ্টিয়া কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
মোসলেমপুর গ্রামের মোছাঃ শাহিনুর বেগম (৫০) গত ২৪ এপ্রিল মামলাটি করেন। আসামী হলেন এনামুল হক বিদ্যুৎ (৪০) পিতা- মৃত সামছুল, মোঃ সানু (৩৮), পিতা- মৃত নফেল সদ্দার, মোঃ মামুন (৩৭), পিতা- মৃত জাহান আলী।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মোসলেমপুর গ্রামের মোছাঃ শাহিনুর বেগম (৫০) এর পরিবারের সাথে আসামীদের পুর্ব বিরোধ ছিলো। এরই জের ধরে বিগত ইং ১৬/০২/২০২১ সালে রাত ৮ টায় ঘটিকায় ভেড়ামারা থানাধীন বাহাদুরপুর ইউনিয়নের মসলেমপুর গ্রামের মামলার বাদীর নিজ নামীয় “স্পেশাল সাহেব বিড়ি” ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে উল্লেখিত আসামীরা বে-আইনী জনতাবদ্ধ হয়ে তার দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে ( লোহার পাইপ, রও, হাতুডি, হকিষ্টিক ও লাঠি-সোঠা) জোরপূর্বক প্রবেশ করে হামলা চালায়। এসময় প্রতিষ্ঠানে থাকা মামলার বাদীর ছেলে মোঃ আশিকুজ্জামান (৩০) ও কর্মচারী মোঃ স্বপন (৩০) প্রতিবাদ করে ও লুটপাট ও ভাংচুরে বাঁধা দেয়। এসময় আসামীরা তাদের হাতে থাকা লোহার পাইপ, রড, হাতুড়ি, হকিষ্টিক ও লাঠি সোঠা দিয়ে আশিকুজ্জামান ও কর্মচারী মোঃ স্বপনকে বেধড়ক পিটিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এছাড়াও পঞ্চাশ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করে। এসময় আসামীরা প্রতিষ্ঠানে থাকা প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার তামাক ও দুই লক্ষ পঞ্চাশ হাজার) টাকার ব্যান্ডরোল, অনুমান তিন লক্ষ টাকা দামের বিড়ি তৈরি করা মিক্সার মেশিন এবং অফিসের ড্রয়ারে থাকা স্পেশাল সাহেব বিড়ির লাইসেন্স জোরপূর্বক নিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা সবাই এগিয়ে আসলে আসামীরা প্রকাশ্যে খুন জখমের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে চলে যায়।
মামলার বাদী মোছাঃ শাহিনুর বেগম জানান, আসামীরা সন্ত্রাসী। ঘটনার পর থেকে আমাদের কে বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে এলাকা থেকে বিতাড়িত করে। এরপর ১ নং আসামী বিদ্যুৎ আমার প্রতিষ্ঠান থেকে চুরি করে নেয়া লাইসেন্স ব্যবহার করে আমার নিজ নামীয় “স্পেশাল সাহেব বিড়ি” নামক ব্র্যান্ড ব্যবহার করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। কিছু বলতে গেলেই খুন জখমের হুমকি দেয়। আসামীদের ভয়ে আমার পরিবার দীর্ঘদিন এলাকায় আসতে পারিনি।
থানায় অভিযোগ দায়ের করলে গত ২৪ এপ্রিল ২৫ ইং তারিখে মামলা হয়। মামলা নং ২৬।
এদিকে এ ঘটনায় ভেড়ামারা থানা পুলিশ আসামিদের ধরতে অভিযান চালায়। মামলার তিন নম্বর আসামি মামুনকে তার বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। শাহিনুর বেগম দাবি করেন মামলার বাকী আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনি আওতায় আনা হোক।