সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার ৩নং চামরদানী ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্ৰামের হরি মন্দিরের উদ্যোগ দৌলতপুর সার্বজনীন হরি মন্দির প্রাঙ্গনে ২০তম ১৬ প্রহর ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম সংকীর্তন চলছে । বিশ্ব মানবতার কল্যানে দেশ ও জাতির মঙ্গল কামনায় প্রতি বছর এ কীর্তন অনুষ্ঠিত হয়। দূর দূরান্ত থেকে ভক্তরা এখানে এসে কীর্তন শোনেন ও প্রসাদ গ্রহন করেন।১৬ নভেম্বর শনিবার শ্রীমদ্ভাগবত পাঠান্তে শুভ অধিবাস কীর্তনের মাধ্যমে শুরু হরিনাম সংকীর্ত্তন। ১৭ ও ১৮নভেম্বর দুই দিন ব্যাপী শ্রী শ্রী তারকব্রহ্ম হরিনাম কীর্তন শেষে মঙ্গলবার সকালে শেষ হয়।হিন্দুধর্মের মানুষ বিশ্বাস করেন, হরে কৃষ্ণ মন্ত্র মহামন্ত্র বা ভগবান কৃষ্ণ মন্ত্র ১৬ টি শব্দের যোগ ব্যক্তি মনে শান্তি প্রশান্তি এনে দেয়। হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করা আমাদের ঐশ্বরিক শান্তি সাথে সংযোগ স্থাপন করতে সাহায্য করে। যা আমাদের অবাঞ্চিত উদ্বেগজনক চিন্তার পরিবর্তে ইতিবাচক দিকে মনোনিবেশ করার সম্ভাবনা করে দেয়। হরে কৃষ্ণ মন্ত্র জপ করলে মুক্তির পথ পাওয়া যায়। আত্মাকে অতীত কর্ম থেকে শৃংখল থেকে মুক্ত করা যায়। হরে কৃষ্ণ মন্ত্র একটি শক্তিশালী আধ্যাত্মিক অনুশীলন যা মানুষের আত্মা উপলব্ধি ও আধ্যাত্মিক জ্ঞানের পথে পরিচালনা করে। হরে কৃষ্ণ নাম মনের শান্তি, আনন্দ, ঐশ্বরিক প্রেমে একমাত্র আলোর পথ হরে কৃষ্ণ নাম কীর্তন। ১৯ নভেম্বর মঙ্গলবার কুঞ্জভঙ্গ, জলকেলি, দধিমঙ্গল ও মহন্ত বিদায়ের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হবে।উল্লেখ্য এই মন্দিরটি প্রতিষ্টা করতে মন্দিরের সম্পূর্ণ অর্থের যোগান দেয় দৌলতপুর গ্ৰামের শিক্ষক স্বর্গীয় চিত্তরঞ্জন সরকার।