গা বাঁচাতে অনেকেই আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপিতে যোগ দিচ্ছেন। আবার কেউ কেউ হুজুর সেজে জামায়াতেও ডুকে পড়ছেন। তাদের মধ্যে একজন আওয়ামী লীগ নেতা মহিব্বুল্যাহ মাওলানা আওয়ামী লীগের আমলে বিএনপি’র সাধারণ মানুষের টাকা লুটে খাওয়া সেই মহিব্বুল্যাহ মাওলানা এখন জামাত-শিবিরের বড় নেতা । বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিরুদ্ধে বেশ সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু, গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে হয়ে গেছেন জামাত শিবিরের সমর্থক।
আরেক সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের আরেক পাতি নেতা রুবেল, সজিব কে বিএনপির বিভিন্ন কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে। সম্প্রতি হাজীরহাট এলাকায় স্থানীয় বিএনপি আয়োজিত শেখ হাসিনার ফাঁসির দাবিতে এক বিক্ষোভ কর্মসূচির মিছিলে অংশ নিতে দেখা গেছে। এতে ক্ষোভ ভোলার মনপুরা উপজেলা এলাকার স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীদের মাঝে। এরই মধ্যে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে রুবেল ও সজিবকে পোস্টের বিভিন্ন নেতাদের মিটিং-মিছিলের ছবিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে। ছবিতে রুবেল ও সজিব কে মনপুরা উপজেলা যুবলীগ ও ছাত্র লীগের বিভিন্ন মিছিল মিটিং এবং ফেষ্টুনে দেখা যায়।আওয়ামী লীগের মিটিং-মিছিলের নেতৃত্ব দিতে দেখা গেছে।স্থানীয় সূত্র জানায়, সজিব একসময় ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সুমন ফরাজীর কাছের লোক ছিলেন। সে সময় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সুমন ফরাজীর নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজি ও এলাকায় ত্রাসের সৃষ্টি করেন।স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায় রুবেল যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনিরের ডান হাত ছিলেন তার নিজ এলাকায় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরের দাপট খাটিয়ে এলাকায় রাজত্ব করেছে রুবেল। এবং বিএনপির মিছিল মিটিংয়ে হামলা চালিয়েছে সাধারণ বিএনপি’র নেতাকর্মীদেরকে হয়রানি করেছে।সে এখন বিএনপি’র ভাইটাল পোস্ট এর কিছু নেতা সাথে চলে বিএনপির পোলাপানকে দৌড়াচ্ছে এবং বিএনপির নেতাদের মাধ্যমে মনপুরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আউটসোর্সিং এ চাকরি নিয়েছে।আরও জানা যায়, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির এর নেতৃত্বে এলাকার কয়েকজন আওয়ামী লীগের পাতি নেতাদেরকে নিয়ে রুবেল টিম লিডার হয়ে দীর্ঘদিন চাঁদাবাজিতে যুক্ত ছিল।
এদিকে হাজীরহাট এলাকার স্থানীয় বিএনপি সূত্র জানায়, আওয়ামী লীগের চ্যালা রুবেল বর্তমানে টাকা-পয়সা খরচ করে বিএনপিতে নিজের নাম লেখানোর চেষ্টা করছে। এরই মধ্যে মনপুরা উপজেলা বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করে বিএনপির মিছিলে প্রথম সারিতে অংশ নিয়ে স্লোগান দিতে দেখা গেছে তাকে। আওয়ামী দোসর রুবেল এর এমন কর্মকাণ্ডে বিব্রতবোধ প্রকাশ করেছে মনপুরা উপজেলার একাধিক বিএনপি নেতা কর্মী রা ।
এসব বিষয়ে কথা হলে স্থানীয় লোকজন জানান রুবেল আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত থাকার কথা স্বীকার করেন এলাকার সাধারণ জনগন ।