সাবেক সংসদ সদস্য মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর ছেলে পিরোজপুর-১ আসনে জামায়াত ইসলামী মনোনীত প্রার্থী মাসুদ সাঈদী বলেছেন, আমার পিতা আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার জুডিসিয়াল ও মেডিকেল কিলিং করে মেরে ফেলেছে। যারা আমার পিতার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও মিথ্যা সাক্ষ্য দিয়েছে তারা অবশ্যই শাস্তি পাবে। তবে আমরা প্রতিহিংসার রাজনীতি করি না। যারা আমার পিতাকে হত্যা করেছে তারা আওয়ামী লীগের লোক। এখনো তারা সরকারের বিভিন্ন পদে আসেন। তাদের কারণে আমরা আমাদের বাবার হত্যার সমস্ত ডকুমেন্ট হাতে পাচ্ছি না। সব ডকুমেন্ট হাতে পেলেই আমরা দোষীদের বিরুদ্ধে মামলা করবো। মঙ্গলবার পিরোজপুর সদর উপজেলা মিলনায়তনে পিরোজপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ এ দেশের মানুষের বাক স্বাধীনতা ও ভোটাধিকার হরণ করেছিল। আওয়ামী লীগ আমাদেরকে নির্বাচন করতে দেয়নি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার ও স্বাধীনতার জন্য ১৭ বছর লড়াই করেছে। ৭১ এর মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়ের পর এদেশের মানুষের সবচেয়ে বড় বিজয় হচ্ছে ২৪ এর ৫ আগস্টের বিজয়। পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ তাফাজ্জল হোসাইন ফরিদের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুর রব, জেলা সেক্রেটারী মো. জহিরুল হক, পিরোজপুর পৌর আমীর মো. আব্দুর রাজ্জাক প্রমুখ। সভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মাসুদ সাঈদী বলেন, আমি বা আমাদের সংগঠন পরিবারতন্ত্রে বিশাসী নয়। পরিবারের সিদ্ধান্তে আমরা রাজনীতি করিনা। সংগঠন যাকে যোগ্য মনে করে তাকেই মনোনয়ন দেয়। জামায়াত ইসলামী আমাকে ও আমার বড় ভাই শামীম সাঈদীকে যোগ্য মনে করে পিরোজপুরের দুটি আসনে মনোনয়নের ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপির সাথে সম্পর্ক বিষয়ক এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত হবে।