রাজশাহী মহানগরীর সাহেববাজার এলাকায় ফটো সাংবাদিক সজল মাহমুদের মোটরসাইকেল হারিয়ে যাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই সেটি উদ্ধার করে নজির স্থাপন করেছে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশ (আরএমপি)। এই দ্রুত উদ্ধার অভিযানে নেতৃত্ব দেন বোয়ালিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোস্তাক আহমেদ।
জিটিভির ফটো সাংবাদিক সজল মাহমুদ বলেন, মোটরসাইকেল হারিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম। কিন্তু রাজশাহী মহানগর পুলিশের আন্তরিক সহযোগিতা ও তৎপরতায় আমি অভিভূত। তিনি তাঁর হারানো মোটরসাইকেল উদ্ধারে সহায়তাকারী সহকর্মী ও বন্ধুদের প্রতিও কৃতজ্ঞতা জানান।
এ উদ্ধার অভিযানে সহযোগিতা করেন দৈনিক আমাদের রাজশাহীর মাসুদ রানা, বাংলাদেশ সমাচারের মুক্তার হোসেন, আমাদের কণ্ঠের রবিউল ইসলামসহ আরও অনেকে। তাঁদের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য সজল মাহমুদ আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
ঘটনা সুত্র ও হারানো গাড়ি ফেরত বিষয়ে জানা যায়, একটি ছেলে তার এলাকার বড় ভাইয়ের কাছ থেকে কিছু সময়ের জন্য মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। সে যেখানে মোটরসাইকেলটি রেখেছিল তার পাশেই আরেকটি মোটরসাইকেল ছিল। ফেরার সময় সে নিজের মোটরসাইকেলে না উঠে ভুল করে এই মোটরসাইকেলটাতে উঠে এবং চাবি দেওয়াতে মোটরসাইকেলটি চালুও হয়ে যায়। পরবর্তীতে সে নিজের গাড়িটি রেখে এই গাড়িটি নিয়ে চলে আসে এবং সে তার বড় ভাইকে গাড়ি ফিরিয়ে দেয়। তখন তার বড় ভাই তাকে বলে এটা তো আমার গাড়ি না। আমার গাড়ি কোথায়? এরপর মুহূর্তেই তারা ঘটনাস্থলে যায় এবং তারা তাদের গাড়িটা সেখানেই পাই আর বুঝতে পারে যে তারা অন্য একটি গাড়ি নিয়ে চলে এসেছে। তারপর তারা থানায় ফোন দিয়ে জানাই তারা ভুলবশত নিজের গাড়িটি রেখে অন্য একটি গাড়ি নিয়ে চলে গেছিল এবং সেটি অন্য চাবিতে স্টার্টও হয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তাদেরকে থানায় ডাকে এবং গাড়ির প্রকৃত মালিকের হাতে বুঝিয়ে দেয় এবং বিষয়টা সমাধান হয়ে যায়।
এই ঘটনা প্রমাণ করে, সঠিক সমন্বয় ও সদিচ্ছা থাকলে খুব অল্প সময়েই যেকোনো সমস্যার সমাধান সম্ভব। রাজশাহী মহানগর পুলিশ যে জনসেবায় কতটা সক্রিয় ও দায়িত্বশীল—এটি তারই উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।