নেছারাবাদের মাদক সম্রাট ফুয়াদ ও বানারীপাড়া কালুর যোগসাজশে চলছে বানারীপাড়া ও নেছারাবাদের মাদক সিন্ডিকেট। সম্প্রতি নেছারাবাদে গেফতার হওয়া তিন মাদক ব্যবসায়ী এক জনার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ইয়াবা ছিলো বানারীপাড়া বন্দর বাজার ব্যবসায়ী কালুর অথবা কালাচাঁদ পাল বা কেসি পালের। কালু যিনি বানারীপাড়ায় তিন নামে পরিচিত তার পিতার নাম মানিক পাল। তার বাড়ি বানারীপাড়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে যাহা উত্তরপাড় নামে পরিচিত। বানারীপাড়ায় খবর নিয়ে জানাযায় তিনি অনেক পুরোনো মাদকসেবী বহু টাকা পয়সার মালিক হওয়ায় তিনি সবসময় থাকতেন প্রশাসনের লোকচক্ষুর আড়ালে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন্দর বাজারের এক ব্যবসায়ী জানান কালু পাল মূলত ছিলেন তার মামার দোকানে একজন সাধারন কর্মচারী বানারীপাড়া আসলে তার মামা বাড়ি।তার মামার দোকানে থাকাকালীন তিনি ফেন্সিডিলেরও ব্যবসা করেছেন। পরবর্তিতে তার মামা কিছুদিন পূর্বে ভারতে চলে যান এবং তার কয়েক বছর পূর্বে তাদের আলাদা দোকান দিয়ে ব্যাবসায় বসিয়ে দিয়ে যান এবং প্রায় কোটি টাকাও দিয়ে যান। তবে তিনি এখন প্রায় অর্ধশত কোটি টাকার মালিক। কিন্তু কালু পাল কাচাঁ টাকার ব্যবসা এখনো ভূলতে পারেনি তিনি তার নিজ দোকানে বসে এখনো নির্বিঘ্নে চালাচ্ছেন মাদক ব্যবসা। সম্প্রতি নেছারাবাদে গ্রেফতার হওয়া তিন মাদক ব্যবসায়ী ইয়াবা সহ গ্রেফতারে সামনে আসে বানারীপাড়া কালুর নাম।
ঘটনাসুত্রে জানাযায়,গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেছারাবাদ থানার এসআই রায়হান আহম্মেদ সোহেল, এএসআই মনির খানের নেতৃত্বে গত মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে স্বরূপকাঠী বাজার অটো ষ্ট্যান্ড এলাকা থেকে ১৫ পিচ ইয়াবাসহ স্বরূপকাঠী পৌর শহরের জগন্নাথকাঠী গ্রামের মৃত আলী আকব্বর এর ছেলে মোঃ মেহেদী হাসান ফুয়াদ (৪০) ও দক্ষিন জগন্নাথকাঠী গ্রামের মোঃ শাহ আলদের ছেলে মোঃ ইয়াছিন(২১) এবং বানারীপাড়া পৌর শহরের ৩নং ওয়ার্ডের মৃত আঃ হাই এর ছেলে মোঃ লিমন (৩৪) কে গ্রেফতার করে। আটকের সময় বানারীপাড়ার লিমনের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ওই মাদক কালুর বলে স্বীকার করেন। ওই সময় লিমন বলেন ওই ইয়াবা ট্যাবলেট তার নয় তিনি বলেন মাদক ব্যবসায় জড়িত নয় তাকে একজনে নিতে পাঠিয়েছেন, কে পাঠিয়েছেন জিজ্ঞেসা করলে লিমন বলে বাজারের অর্থাৎ বানারীপাড়া বন্দর বাজারের এক বড় ভাই পাঠিয়েছেন। তিনি কে জিজ্ঞেসা করলে লিমন বলে কালু ভাই পাঠিয়েছেন। কত পিচ জিজ্ঞেসা করলে ৮পিচের কথা উল্লেখ করে তারপর সঠিক করে বলতে বললে লিমন বলে বানারীপাড়ার কালু মাদক ব্যবসায়ী ফুয়াদের কাছে টাকা পাঠিয়েছেন লিমন জানেনা সঠিক কত পিচ। পরবর্তীতে তাদের কাছ থেকে ১৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। তবে ওই মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে গোপনে আলাপকালে একজন জানান কালু মূলত ফুয়াদের মাদক ব্যবসায় একজন পার্টনার বড় চালান আসলে টাকাটা মূলত কালুই দেন। চালান বিক্রির পর ব্যাবসায় টাকা ভাগাভাগী হয় ও বানারীপাড়ার থেকে সকল ক্রেতা কালুর রেফারেন্সেই আসে।
এ বিষয়ে কালুর সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে তার এই ০১৭১৬-৮৮৩৫৫৭ নাম্বারে ফোন দিলে তার ফোন নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
উল্লেখ্ থাকে যে মেহেদী হাসান ফুয়াদ একজন প্রফেশনাল মাদক ব্যবসায়ী এর নামে নেছারাবাদ থানায় একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। তবে বানারীপাড়ার এই কালু টাকার জোড়ে প্রতিবারই থেকে যায় প্রশাসনের লোকচক্ষুর আড়ালে তবে এখন প্রশ্ন হলো এবারওকি কালু পাল থাকবে লোকচক্ষুর আড়ালে ?
এদিকে বানারীপাড়া সচেতন মহল কেসি পাল ওরফে কালাচাঁদ পাল বা কালুর কঠিন শাস্তি দাবী করেছেন। তার জন্য বানারীপাড়া ছাত্র ও যুব সমাজ মাদকে আসক্ত হয়ে পরছে।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ওই তিন মাদক ব্যবসায়ী জেল হাজতে রয়ছেন।