জামালপুরের মাদারগঞ্জে ১০০ শয্যা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সরকারি হাসপাতালে ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ না করেই বিল তুলে নিয়েছে ঠিকাদার। বিল তোলার সহযোগিতা করায় উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা দুইটি আইফোন ও নগদ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন ওষুধ ও অন্যান্য মালামাল সরবরাহের আগেই বিল প্রধানের বিষয়টি স্বীকার করলেও বিনিময়ে আইফোন ও নগদ টাকা নেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। জানা গেছে, গত অর্থবছরে মাদারগঞ্জ ১০০শয্যা সরকারি হাসপাতালে ওষুধপত্র, চিকিৎসা সরঞ্জাম ও আসবাবপত্র ৬ টি প্যাকেজে ৬৫ লাখ টাকার দরপত্র আহ্বান করা হয়। মেসার্স সরকার এন্টারপ্রাইজ ও নাটোরের হক এন্টারপ্রাইজ ঠিকাদারি কাজ পেলেও শুরু থেকেই স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ঠিকাদারদের নাম গোপন রাখেন। গত ২৪ জুন সরকার এন্টারপ্রাইজ ও হক এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আসলাম হোসেন ও এমদাদুল হককে ওষুধ ও অন্যান্য মালামাল সরবরাহ বিপরীতে ৬৫ লাখ ১৮ হাজার ৬৩৮ টাকা বিল প্রদান করা হয়েছে। সরকার এন্টারপ্রাইজ স্বত্বাধিকারীরা আসলাম হোসেন এর কাছে মুঠোফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন নিয়ম অনুযায়ী ওষুধপত্রসহ সব মালামাল সরবরাহ করেই আমি বিল নিয়েছি। ওষুধ না দিলে কি আমাকে বিল দেওয়া দিয়েছে। ওষুধ হাসপাতালে কম আছে কিনা তা আপনারা দেখেন।
জেলা সিভিল সার্জন আজিজুল হক বলেন, ওষুধ সরবরাহ শেষ হওয়ার আগে পুরো বিল পরিশোধের নিয়ম নেই। এ বিষয়ে পত্রিকায় রিপোর্ট হলে তদন্ত করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।