পাথরের বদলে নিম্ন মানের রাবিশ দিয়ে কালভাট ব্রীজ নির্মানের অভিযোগ উঠেছে মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার বাশকান্দি ইউনিয়নের সানকিরচর এলাকায়। এটি নিয়ে ক্ষোভে উত্তাল অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা। সংবাদকর্মীরা স্বরেজমিনে পরিদর্শনে গেলে এলাকার জনগন জানান, এই দুর্বল কাচামাল দিয়েই ব্রীজের বেইস ঢালাই দেয়া হয়েছে। এটি নিয়ে স্থানীয় জনগন প্রতিবাদ করলেও সাইটে থাকা ম্যানেজার কোন কথা কর্নপাত করেননি। এটি নিয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের বাক বিতন্ডা হয়েছে বলেও জানা যায়। অনুসন্ধানে গেলে সংবাদ কর্মীদের উপর ক্ষেপে তেড়ে আসেন ঠিকাদারের লোকজন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন করতে গেলে সংবাদকর্মীদের নানা রকম ভয় দেখান সাইড ম্যানেজার। যদিও এক পর্যায়ে প্রশ্নের জালে আটকে উক্ত স্থান থেকে পালিয়ে যান তারা। এই ব্যাপারে ব্রীজের ঠিকাদার দ্বিতীয়খন্ড ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হাবিব মৃধার সাথে এই বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে তিনিও সংবাদকর্মীদের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করেন। হাবিব মৃধার বাড়িতেও একই রকম পাথরের রাবিশ দেখতে পেয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করেন সংবাদ কর্মীরা। ঠিকাদার হাবিব মৃধা বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে তার রাজনৈতিক পদ পদবী ব্যবহার করে প্রচুর পরিমান টেন্ডার একতরফা ভাবে হাতিয়ে নেয় যেসব কাজের বিষয়ে বিস্তর অভিযোগ রয়েছে। এর ভিতরে কয়েকটি রাস্তার কাজের ঢালাই ছিলো অতি নিম্নমানের। বিটুমিনের পরিমান ছিলোনা বললেই চলে। উপজেলার মাদবরচর ইউনিয়নের একটি স্কুলের কাজে রডের বদলে বাঁশের ব্যবহারের ভিডিও তৎকালীন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিলো। সাবেক সংসদ সদস্য লিটন চৌধুরীর আস্থাভাজন হবার কারনে তার বিরুদ্ধে কোনো আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে তার বক্তব্য চাওয়া হলে কৌশলে তা এড়িয়ে যান এই ঠিকাদার।