মানিকগঞ্জ হরিরামপুর উপজেলায় এক যুবকের উপর মারধর ও দাড়ি কেটে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মালেক ও তার ছেলে দিপুর (২৫) বিরুদ্ধে।
গত মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাস্তা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।ভুক্তভোগী মাসুদ রানা (২৬) বাল্লা ইউনিয়নের সুরাই গ্রামের ছোরহাব উদ্দিনের ছেলে।ভুক্তভোগী ঢাকার কেরানীগঞ্জ এলাকায় ডিশের লাইনের কাজ করেন।
ভুক্তভোগী মাসুদ রানা বলেন,গত কিছুদিন আগে আমি ছুটিতে আমার বাসায় আসি।ঘটনার দিন আমার চাচাকে নিয়ে ফসলি জমির জন্য ঔষধ কিনতে পাশের এলাকা বাস্তা বাজারে যাই।টাকা ভাংতি করার জন্য বের হলে চেয়ারম্যানের মুখোমুখি হই।তখন তিনি আমার শার্ট ধরে টেনে নিয়ে বলে আমি কেনো তার দিকে তাকালাম আর সালাম দিলাম না কেনো।তখন তিনি তার জুতা খুলে আমাকে মারতে থাকেন।এরপর তার ছেলে এসে আমাকে কিল-ঘুষি মারতে থাকে।একপর্যায়ে চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন আমাকে টেনে একটা চুল কাটার স্যালুনে নিয়ে গিয়ে আমার দাড়ি কেটে দেয়।আমি চিৎকার করলে বাজারের মানুষ জরো হতে থাকে।তখন আমাকে হুমকি দিয়ে সেখান থেকে চলে যায়।আমি এই ঘটনায় অনেক অসুস্থ হয়ে পরেছি।আমি খুবই ভয়ের মধ্যে আছি।আমি প্রশাসনের কাছে এর বিচার চাই।
এই বিষয়ে চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন বলেন,অভিযোগ সম্পুর্ন মিথ্যা ও বানোয়াট।আমার ছেলের সাথে আগের একটা ঝামেলা ছিলো,এই নিয়ে একটু ধাক্কা ধাক্কি হইছে।ওই ছেলেটা মাদকাসক্ত,গতবারেও মারামারি হয়েছে,এরেস্ট হয়েছে মাদক ও অস্ত্রসস্ত্রসহ।মাদকের বিষয়ও হতে পারে,অন্য বিষয়ও হতে পারে,আমি জানি না।আমি আমার ছেলেকে ধমক দিয়া খেদিয়ে দিয়েছি।
সাংবাদিক দাড়ি কাটার বিষয়ে জিগ্যেস করলে চেয়ারম্যান উত্তরে বলেন,আপনি প্রমাণ করেন।আমি ওর গায়ে টাচও করি নাই।আমি শুধু ওরে বলেছি তোমার বয়স কম,এইভাবে চুল আর দাড়ি রাখা ঠিক না।শেভ করে তুমি বাড়ি যাও।আমি শুধু এইটুকুই বলেছি,এর বাহিরে কিছুই ঘঠে নি।এই বিষয়ে হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ নুর আলম বলেন,এই বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি।তদন্তে করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।