মানিকগঞ্জে বিএডিসির সেচ ব্যবস্থা ধ্বংস করে তিন ফসলি জমি থেকে মাটিকাটা ও কৃষি জমিতে ইটভাটা বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী। এর আগে এসিল্যান্ড ও ইউএনও বরাবর আবেদন করেছিল তারা।
বুধবার(২৪ জানুয়ারি) দুপুরে সিংগাইর উপজেলার বলধারা ইউনিয়নের পূর্ব জইল্যা চকে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
‘জইল্যা গ্রামের কৃষক পরিবার ও এলাকাবাসী’র ব্যানারে ঘন্টা ব্যাপী এ মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, গত বছর আমরা মাটিকাটা বন্ধের দাবিতে প্রশাসনের কাছে গণ স্বাক্ষর করেছিলাম। এ বছরও আমরা গণ স্বাক্ষর করেছি। তারপরও ভূমি খেকোরা ফসলি জমি থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। গতবছর রাতের আঁধারে মাটি কাটলেও এবার তারা প্রকাশ্যে দিনের বেলায় মাটি কাটছে। মাটি কাটতে নিষেধ ও প্রতিবাদ করলে তারা বিভিন্ন রকমের হুমকিধামকি দিচ্ছে।
সুলতানা বিবি বলেন, জইল্যার চকে আমাদের ফসলি জমে রয়েছে। বর্তমানে সেখানে ভুট্টার চাষ করেছি। আমাদের জমি ঘেঁষে মাটি কেটে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটা মালিকেরা। এভাবে মাটি কাটলে আমাদের জমিও ভেঙে পরবে। আমরা অবৈধ মাটিকাটা বন্ধ চাই।
মানববন্ধনে সোলেমান মিয়া বলেন, জইল্যার চকে আমার চার বিঘা জমি রয়েছে। গতবছরও ভূমি খেকোরা আমার জমির পাশ থেকে কেটে নিয়ে গেছে। প্রতিবাদ করেও মাটিকাটা বন্ধ করতে পারি নাই। এবারও ভূমি দস্যুরা আমার জমির পাশ থেকে মাটিকাটা শুরু করেছে। মাটি কাটার ফলে এর মধ্যেই জইল্যার চকে কয়েকটি ফসলি জমি পুকুরে পরিণত হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন তিনি যেন আমাদের কৃষিজমি রক্ষার একটা ব্যবস্থা করে দেন।
সাকিবুল হাসান বলেন, অবৈধভাবে মাটি কাটার জন্য বিএডিসির সরকারি সেচ ব্যবস্থা ধ্বংস করা হয়েছে। তারা দিনে রাতে জইল্যার চক থেকে মাটি কেটে ইটভাটায় নিয়ে যাচ্ছে। আমরা আমাদের কৃষি জমি রক্ষার জন্য মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছি। এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে লিখিতভাবে আবেদন করেছি। আশা করি প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
সিংগাইর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। যারা অবৈধ মাটি কাটার সাথে জড়িত তাদেরকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।