নারায়ণগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপি নেতা জাকির খান দীর্ঘ কারাবাসের পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছেন। আজ ২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল, রোববার সকালে তিনি কারাগার থেকে মুক্তি পান। তার মুক্তির খবরে সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। তারা তাকে শুভেচ্ছা জানাতে ভিড় জমায় এবং তাকে ঘিরে আনন্দ-উৎসব করেন।
জাকির খানের বিরুদ্ধে মোট ৩৩টি মামলা দায়ের করা হয়েছিল, যার মধ্যে বেশ কয়েকটি ছিল গুরুতর অভিযোগের। তবে দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ার পর তিনি বেশিরভাগ মামলায় খালাস পান। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত ব্যবসায়ী নেতা সাব্বির আলম খন্দকার হত্যা মামলায় তাকে ও অন্যান্য আসামিদের খালাস প্রদান করেন। এই মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে চলছিল এবং তার বিরুদ্ধে আর কোনো আইনি বাধা না থাকায় তিনি অবশেষে মুক্তি পান।
মুক্তি পাওয়ার পর জাকির খান নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “আমার জীবনের এই কঠিন সময়ে যেভাবে আপনারা আমাকে সমর্থন ও ভালোবাসা দিয়েছেন, তা আমি কখনো ভুলব না।” তিনি আরও বলেন, “আমি জনগণ ও প্রশাসনকে সাথে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের জন্য একটি গ্রহণযোগ্য এবং শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”তার মুক্তির খবরে নারায়ণগঞ্জে তার সমর্থকদের মধ্যে ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। তারা শহরের বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও শোভাযাত্রা করে এবং তাকে ফুল দিয়ে সংবর্ধনা জানায়। অনেকেই আশা প্রকাশ করেছেন যে, তিনি আবারও নারায়ণগঞ্জের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন।
জাকির খান তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, নারায়ণগঞ্জে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে তিনি জনগণের জন্য কাজ করে যাবেন। তিনি বলেন, “এই শহরের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের স্বার্থে আমরা সবাই মিলে একসাথে কাজ করব।”তার এই মুক্তি নিশ্চিতভাবেই শহরের রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।