ঢাকা-মাওয়া এক্রপ্রেসওয়ের মুন্সীগঞ্জ শ্রীনগরে রাম দা হাতে ডাকাতি চেষ্টার ঘটনায় ভাইরাল হওয়া ভিডিও দেখে ৫ ডাকাত সদস্যকে শনাক্ত করে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘটনার সময় ডাকাতের পরিহিত পোশাক ও ৩ টি সেনদা উদ্ধার করা হয়েছে । এ ঘটনায় আজ বুধবার ( ৭ মে ) বিকেল ৪ টায় মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয় প্রেস বিফ্রিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রেস বিফ্রিংয়ে মুন্সিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সামসুল আলম সরকার বলেন,গত ৫ মে রাত দেড়টার দিকে মাদারীপুর জেলার শিবচর থানার ভদ্রাসন গ্রামের তোতা মিয়ার ছেলে মোঃ রবিউল আলম ( ৩০ ) তার এক প্রতিবেশি অসুস্থ হয়ে পড়লে তিনি তার নিজের গাড়িতে করে অসুস্থ প্রতিবেশির চিকিৎসার জন্য মোট ৪ জনকে নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
রাত ২ টার দিকে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়ে শ্রীনগর উপজেলার ষোলঘর এলাকায় তিনি রাস্তার উপর বেশ কিছু ছনের আটি দিয়ে তৈরী করা একটি বেরিকেট পান। তিনি গাড়ি থামাতেই রাস্তার নিচ থেকে দেশীয় মারাত্মক ধারালো অস্ত্র নিয়ে ৬ জন ডাকাত অস্ত্র উঁচিয়ে গাড়িতে আক্রমণ করতে ছুটে আসে।
সে সময় গাড়ির ড্রাইভার সুকৌশলে পালিয়ে যেতেই ডাকাতের দল গাড়িটিকে ধরার জন্য তাদের অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া করে গাড়িটিকে ধরতে ব্যর্থ হয়ে অস্ত্র ছুড়ে মারে,এ ঘটনা ভিডিও পুরো কার্যক্রম ক্যামেরায় রেকর্ড হয়। যা গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে প্রচার হয়।
মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো জানান, মুন্সিগঞ্জ জেলা পুলিশ ঘটনাটি অবগত হওয়ার পর গোয়েন্দা পুলিশ গত ৬ মে দুপুর থেকে আজ ৭ মে দুপুর দুইটা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকা থেকে ঘটনায় জড়িত ডাকাতদের ৫ জনকে গ্রেফতার করে।
তাদের ব্যবহৃত অস্ত্রশস্ত্র এবং ঘটনার সময় তাদের পরিহিত পোশাক উদ্ধার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামিগণ সকলেই ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হল পটুয়াখালীর জেলার রাঙ্গাবালী উপজেলার টিলা গ্রামের ফজল আলীর ছেলে মোঃ কামাল ওরফে সিএনজি কামাল ( ৪০ ) একই উপজেলার নয়া বাঙ্গুনি গ্রামের খলিল সরদার এর ছেলে মোঃ ইসমাইল সর্দার, মাদারীপুর জেলার কালকিনি উপজেলার আলিয়ার চর গ্রামের কাঞ্চন ব্যাপারীর ছেলে রমজান বেপারী ( ২৭ ) পটুয়াখালী জেলা কলাপাড়া থানার উত্তার চাকা মায়া গ্রামের শাহ আলম মোল্লার ছেলে রাসেল মোল্লা ও মাদারীপুর সদর উপজেলার আদিতাপুর গ্রামের সরোয়ার হোসেনের ছেলে মোঃ লিটন মাতব্বর ( ২০ )
প্রেস ব্রিফিংয়ে আরো উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ) মোহাম্মদ কাজী হুমায়ুন রশিদ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ক্রাইম এন্ড অপরেশন মোঃ ফিরোজ কবির জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ ( ওসি ) ইশতিয়াক আশফাক রাসেল প্রমুখ।