গত ০৬/০৬/২০২৫তারিখ সকাল অনুমান ১০:০০ঘটিকায় আসামি স্বপন মিয়া (৩৭) ভিকটিম সাবিনার(৩৫)কাছে বাড়ি যাওয়ার জন্য ৫০০(পাঁচশত) টাকা চান। তখন সাবিনা তাকে টাকা দিতে অস্বীকার করে। এ নিয়ে আসামি স্বপন মিয়া ভিকটিম এর মধ্যে ঝগড়া শুরু হয়। সাবিনা তখন ভাড়া বাসার রুমের ফ্লোরে বসা ছিল। এক পর্যায়ে আসামি স্বপন মিয়া ফ্রিজের পাশে থাকা শিল দিয়ে সাবিনার মাথায় জোরে কয়েকটা বাড়ি মেরে বটি দা দিয়ে কুপ দেয়।ঘটনাস্থলেই সাবিনা মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সাবিনা মারা যান। আসামি স্বপন মিয়া ভিকটিমের লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রেখে ভিকটিমের মোবাইল ফোন সাথে নিয়ে ঘরে তালা দিয়ে বাহিরে পালিয়ে যায়। তারপর আসামি সীডস্টোর থেকে ঈশ্বরগঞ্জ পরে তার মেয়ের বাড়ি হয়ে চরলক্ষ্মীপুর নান্দাইল চলে যায়। ঈদের পরদিন সাবিনার লাশ উদ্ধার হলে আসামীর ছোট ভাই আপন, মামাতো ভাই আইনুল সাবিনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তাদের কাছে সাবিনাকে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করে। আসামে স্বপন মিয়া চর লক্ষীপুর নান্দাইল থেকে পালিয়ে গাজীপুর চলে যান। গত ৪-৫ দিন যাবত আসামি গাজীপুর ভাংনাহাটি এলাকায় লুকিয়ে ছিল। গত ১৩/৬/২০২৫ বিকেল ৫:৩০ ঘটিকায় অভিযান পরিচালনা করে ভাংনাাহাটি, শ্রীপুর, গাজীপুর থেকে আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। আসামিকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ভিকটিম সাবিনা কে হত্যার কথা স্বীকার করে। ভালুকা মডেল থানার পুলিশের তদন্তে আসামি খুনের আলামত বের করে দেয়। আসামি কে ভালুকা মডেল থানা পুলিশের হেফাজতে ময়মনসিংহ কোর্টে চালান করা হয়।