যশোরে অস্ত্র ও গুলিসহ আটক মামলায় পূর্ব বারান্দীপাড়া কাঠালতলার আলোচিত মাজহারুল ইসলাম নান্টুর ১৭ বছরের কারাদন্ডের আদেশ দিয়েছে আদালত। তিনি ওই এলাকার মৃত হারুন অর রশিদের ছেলে। বুধবার যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ জাকির হোসেন টিপু এ আদেশ দেন। একই সাথে এ মামলার অপর আসামি আলোচিত মনির কসাইকে খালাশ প্রদান করেছেন। তিনিও ওই এলাকার মৃত আবুল হোসেন মহুরির ছেলে। বুধবার আসামিদের উপস্থিতিতে এ সাজা প্রদান করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চসহকারী শাহরিয়ার ইবনে আজাদ। মামলা সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ১৩ মার্চ রাত সাড়ে নয়টায় বারান্দীপাড়া নাথপাড়া এলাকায় ওই এলাকার রিপন ওরফে ধামা রিপনকে পেয়ে মাদক ব্যবসা নিয়ে দ্বন্দ্ব ও এলাকায় আধিপত্ত বিস্তার সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গুলি করে হত্যা চেষ্টা চালায় সন্ত্রাসীরা। কিন্তু ওই গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। বিষয়টি নজরে আসে কোতোয়ালি থানা পুলিশের। কোতোয়ালি থানার তৎকালীন এসআই জামাল উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি টিম রাত নয়টা ৫০ মিনিটে ওই এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় নান্টুর বাড়ির সামনে থেকে নান্টু ও মনির কসাইকে আটক করে। পুলিশ তল্লাশি করে নান্টুর কোমর থেকে এক রাউন্ড বিদেশী পিস্তল ও দুই রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় ওই দুইজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও গুলি আইনে মামলা করা হয়। মামলায় উল্লেখ করা হয়, আটককৃতরা এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী। এদিকে, মামলাটি তদন্ত করে এসআই আবুল কালাম আজাদ ৩১ জানুয়ারি আদালতে ওই দুইজনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন। সর্বশেষ গত বুধবার মামলার রায় ঘোষনার দিনে বিচারক নান্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় অস্ত্র আইনে ১০ বছর ও গুলি আইনে আরও সাতবছর সশ্রম কারাদন্ডের আদেশ দেন। একই সাথে মনির কনাইকে খালাশ প্রদান করেন