যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের মেয়ে শামামা তাবাস্সুম ইশরা কানাডার বিশ্বখ্যাত টরন্টো বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ লাভ করেছেন। আগামী সেপ্টেম্বর সেশন থেকে তিনি স্বাস্থ্যবিজ্ঞান (হেলথ সায়েন্স) বিষয়ে স্নাতক পর্যায়ে অধ্যয়ন শুরু করবেন।
এই খবরে তার পরিবার, আত্মীয়স্বজন এবং এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দ ও গর্বের জোয়ার বইছে।
ইশরা বাঘারপাড়া উপজেলার বন্দবিলা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা মাসুম হোসেন পেশায় একজন ফার্মাসিস্ট এবং মা সেলিনা আক্তার নিলু একজন গৃহিণী।
ইশরার দাদা সিরাজুল ইসলাম জানান, “আমার ছেলে মাসুম হোসেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফার্মেসিতে স্নাতক শেষ করে ঢাকায় একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি কানাডায় কাজের আবেদন করেন এবং ২০১৩ সালে পরিবারসহ সেখানে পাড়ি জমান। আমার নাতনি আজ আমাদের গর্বিত করেছে। তার উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য সবার দোয়া কামনা করছি।”
ইশরার বাবা জানান, ২০১১ সালে তার মেয়ে ঢাকার গ্রীনফিল্ড স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পন্ন করে। এরপর ২০১৩ সালে কানাডায় গিয়ে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে থাকে এবং ২০২৫ সালের ২৭ জুন আনুষ্ঠানিকভাবে হাইস্কুল ডিপ্লোমা (গ্রেড-১২) অর্জন করে। শুধু তাই নয়, গ্রেড-১২ পর্যন্ত প্রতি বছর ‘একাডেমিক এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ অর্জন করেছে তার কন্যা।
গর্বিত বাবা মাসুম হোসেন বলেন, “ইশরার পরিশ্রম, অঙ্গীকার আর সাহসিকতার ফলেই আজ সে এই পর্যায়ে পৌঁছেছে। আমরা তার জন্য অত্যন্ত গর্বিত ও আনন্দিত।”
ইশরার এই অর্জন শুধু তার পরিবারের নয়, গোটা যশোরবাসীর জন্যই এক গৌরবের মুহূর্ত। তার সাফল্য আগামীর প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলেই মনে করছেন সবাই।