সড়ক ও জনপথ (সওজ) রংপূর বিভাগের অধীনে ‘রংপূর-দিনাজপূর মহাসড়কের চলমান কাজের গতি ও মান ফিরেছে। সড়ক ও জনপথ (সওজ) রংপূূরের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেছেন, ‘কাজে অনিয়ম করার কোনো সুযোগ নেই। সেখানে আমাদের লোকজন তদরকী করার জন্য রাখা হয়েছে। কাজের মান পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্যে একজন গবেষণা কর্মকর্তাকেও সেখানে রাখা হয়েছে। সার্বিক বিষয়ে কাজ চলছে খুব দ্রুত গতিতে। কাজে কোনো প্রকার অনিয়ম বা ত্রুটি ধরা পড়লে ছাড় নেই।
২৭ জুলাই রোববার দুপূরে রংপূর-সৈয়দপূর সড়কের হাজির হাট সিটির মোড় এলাকার দেখা যায় জোরেসোরে চলছে সড়কের নির্মাণ কাজ। সড়ক ও জনপথ (সওজ) রংপূরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কামাল পাশা বলেন, ‘আমরা কাজ সব সময়ে তদারকী করে আসছি। বর্তমানে পার স্কয়ার ফিটে ২৩ কেজি পাথরের স্থলে আরও বেশি পাথর ফেলানো হচ্ছে। ’ঠিকাদার হারুণূর রশিদকে পাওয়া যায়নি। কাজ তদারকী করছেন শাহিনূর রহমান নামে এক যুবক। তিনি বলেন, স্টন ইস্পিটর মেশিনের সাহায্যে সড়কে পাথর বিছাতে গিয়ে একটু কমবেশি পড়েছিল। যাতে আর কম না পড়ে সেদিকে খুব সতর্ক থাকছি।’
সড়কের বিটুমিন দেওয়ার আগে মেশিন দিয়ে খুব ভালো করে পরিস্কার করে নেওয়া হচ্ছে সড়কের ধুলোবালু। এরপর বিটুমিন ছিটিয়ে সড়কে বিটুমিন ও পাথর মিশ্রণ করে স্টোন স্প্রেডার। বিটুমিন ডিস্ট্রিবিউটর মেশিনের মাধ্যমে সড়কে পাথর বিছানো হচ্ছে। সেখানে কাজের গুনগত মান পরীক্ষা করছেন এক ব্যক্তি। জানা গেলো তাঁর নাম মহসিন মজুমদার, তিনি রংপূর সড়ক ও জনপদ বিভাগের ল্যাবরেটরি সহকারী গবেষণা কর্মকর্তা। পাশে কাজ তদারকী করছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) রংপূরের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম পাশা। সহকারী গবেষণা কর্মকর্তা মহসিন মজুমদার বলেন, ঘটনাস্থলে দাড়িয়ে কাজের গুনগত মান পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছি।’
রংপূর সড়ক ও জনপথ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ‘রংপূর -সৈয়দপূর সড়কের রংপূর হাসনা নগর থেকে পাগলাপীর, সলেয়াসার বাজার থেকে বাড়াতির ব্রিজ, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ ব্রিজ, তারাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলির বাজার পর্যন্ত মোট ১৭ কিলো ৬০০ মিটার সড়কের পাথর বিছানো এবং রংপূর মেডিকেল মোড় থেকে হাসনা বাজার পর্যন্ত সড়কের দু’ধারের প্রস্ত বৃদ্ধির কাজে প্রাক্কলিত মূল্য ধরা হয় ২৯ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। ২৬ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় কাজটি পান রাজশাহীর ঠিকাদার ডন এন্টারপ্রাইজ। কাজ শুরু হয় গত ২ ফেব্রুয়ারী, শেষ হওয়ার মেয়াদ রয়েছে আগামী ২ আগস্ট।
বিধি অনুযারী সড়কে পাথর বিছানোর সময় প্রতি স্কয়ার মিটারে ১ দশমিক ২ কেজি বিটুমিন এবং ২৩ কেজি পাথর বিছাতে হবে। কিন্তু ঠিকাদার ২৩ কেজির পাথরের স্থলে ১৮ কেজি পাথর বিছানোর কারণে নড়েচরে বসে সড়ক বিভাগ। এতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চাউর হয়।