রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণে ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) দ্রুত অনুমোদনের দাবিতে শাহজাদপুরে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও স্থানীয় জনসাধারণের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি।
সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে শাহজাদপুর বিসিক বাসস্ট্যান্ডের সামনে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা। সেখান থেকে ঢাকা-পাবনা মহাসড়ক অবরোধ করে তারা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এই কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে অংশ নেন শাহজাদপুরের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও পেশাজীবী সংগঠনের প্রতিনিধি এবং বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। উপস্থিত ছিলেন নাসিম উদ্দিন মালিথা পরিষদের নেতৃবৃন্দ, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর শাহজাদপুর শাখার প্রতিনিধি এবং সচেতন নাগরিক ফোরামের নেতারা।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতৃবৃন্দ বলেন,
“রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণের প্রক্রিয়া দীর্ঘসূত্রতায় পড়ে আছে। সরকারের উচিত আজকের একনেক সভাতেই ডিপিপি অনুমোদন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রগতির পথ প্রশস্ত করা।”
সচেতন নাগরিক ফোরামের সভাপতি মির্জা হুমায়ুন বলেন,
“এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য নতুন করে কোনো ভূমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন নেই। বিশ্বকবিরই দানকৃত জমিতে প্রতিষ্ঠানটি নির্মাণ হচ্ছে। তা সত্ত্বেও প্রকল্প অনুমোদনে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্ব কেন— সেটাই প্রশ্ন।”
এ সময় বিক্ষোভস্থলে উপস্থিত হন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এস. এম. হাসান তালুকদার, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া এবং ট্রেজারার অধ্যাপক ড. ফিরোজ আহমদ।
শিক্ষার্থীরা তাদের হাতে “ডিপিপি অনুমোদন চাই” লেখা প্ল্যাকার্ড তুলে দিলে ভাইস চ্যান্সেলর গণমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলেন,
“এই প্ল্যাকার্ডেই আমাদের বক্তব্য— আমরা অবিলম্বে ডিপিপির অনুমোদন ও তার দ্রুত বাস্তবায়ন চাই।”
বিক্ষোভকারীদের গলা ফাটানো স্লোগানে মুহুর্মুহু প্রতিধ্বনিত হতে থাকে বিসিক মোড় এলাকা। বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করে আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, আগামীকাল ২৮ জুলাই সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ সংলগ্ন ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে প্রতীকী ক্লাস ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হবে।